বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রথযাত্রার আবহেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) প্রসাদ রাজ্যের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেশনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য (Government of West Bengal)। আগামী ১৭ জুন থেকে প্রসাদ বিতরণের কাজ শুরু হবে বলে ঠিক করেছে সরকার। উল্টোরথের মধ্যেই তা সম্পন্ন করা হবে। তার আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলার রেশন ডিলাররা (Ration Dealer)।
জগন্নাথদেবের (Jagannath Temple) প্রসাদ বিলির আগে কী সিদ্ধান্ত নিলেন রেশন ডিলাররা?
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার উন্মোচনের সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই মতো প্রভুকে নিবেদন করা খোয়া ক্ষীর সহযোগে গজা ও প্যাঁড়া বাংলার ঘরে ঘরে পাঠানো হবে। তবে এই প্রসাদ বিলি করতে কোনও প্রকার পারিশ্রমিক বা ভর্তুকি নেবে না বলে ঠিক করেছেন রেশন ডিলাররা।
জানা যাচ্ছে, সরকার ঠিক করেছিল, রেশনের মাধ্যমে জগন্নাথদেবের (Jagannath Temple Digha) প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিলারদের প্যাকেট প্রতি এক টাকা করে ভর্তুকি দেওয়া হবে। বাংলার প্রায় ১১ কোটি রেশন গ্রাহকের নিরিখে সেই অঙ্কটা প্রায় ১১ কোটি টাকা হয়েছিল। তবে রেশন ডিলাররা এই টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রেশন দোকানদারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের রাজ্য শাখা জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা মেনেই তাঁরা রাজ্যের বরাদ্দ করা প্যাকেট প্রতি এক টাকা ভর্তুকি নেবেন না।
ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু এই বিষয়ে বলেন, ‘এই মহান কর্মযজ্ঞে আমাদের শামিল করায় মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। আমরা ঠিক করেছি, সোমবার থেকে শুক্রবার অবধি ‘দুয়ারে রেশনে’র সুবিধা কাজে লাগিয়ে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি মহাপ্রসাদ পৌঁছে দেব। শনি ও রবিতে দোকান থেকেই রেশন ও প্রসাদ বিলি করা হবে’।
জানা যাচ্ছে, জগন্নাথদেবের প্রসাদের সঙ্গে গজা ও প্যাঁড়া দেওয়া হবে। সেই মিষ্টি কোথা থেকে কেনা হবে সেটা স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পুরসভা কর্তৃপক্ষ স্থির করবে। তবে খোয়া ক্ষীর একমাত্র দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকেই আসবে। রেশন ডিলারদের কাঁধেই প্রসাদের প্যাকেট পরিবহণ, সংরক্ষণ ও বিলি করার দায়িত্ব থাকবে। তবে এই কাজের জন্য কোনও প্রকার ভর্তুকি নেবেন না তাঁরা।
অন্যদিকে জগন্নাথদেবের (Jagannath Temple) প্রসাদ বিতরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সম্প্রতি এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা জবাব দিয়েছে সরকার। এই আবহে জানা গেল, ভর্তুকি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার রেশন ডিলাররা।