বাংলাহান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) কোটি কোটি টাকার ‘গুপ্তধন’ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে উচ্ছসিত ভারতবাসী। ৫৯ লক্ষ টন লিথিয়াম (Lithium) বা ‘সাদা সোনা’র হদিস মিলেছে জম্মুর রেয়াসি জেলায়। কিন্তু ভারতের এই গুপ্তধন নিরাপদে নেই। এর উপর নজর পড়েছে সন্ত্রাসবাদীদেরও (Terrorist)। ভারত সরকারকে একটি হুমকি চিঠিও দিয়েছে একটি জঙ্গি সংগঠন।
সোমবার পিপলস অ্যান্টি-ফ্যসিস্ট ফ্রন্ট (People’s Anti-fascist Front) নামক একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন একটি হুমকি চিঠি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, কোনওভাবেই জম্মু ও কাশ্মীরের সম্পদের ‘শোষণ’ ও ‘চুরি’ হতে দেবে না। তারা আরও জানিয়েছে, এই সম্পদ জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের। এগুলি সেখানকার মানুষের উন্নয়নের কাজে লাগানো উচিত। সংস্থাগুলিকে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনটি আরও বলেছে যে জম্মু ও কাশ্মীরে খনির কাজ করে এমন কোনও সংস্থা আক্রমণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এই প্রথম এত বিপুল পরিমাণ লিথিয়ামের হদিস পাওয়া গিয়েছে দেশে। জম্মুর রেয়াসি জেলার সালাল-হায়মানা অঞ্চলে ৫৯ লক্ষ টন লিথিয়ামের খোঁজ মিলেছে। এমনই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রক (Union Ministry of Mines)। মা বৈষ্ণদেবীর মন্দিরের পাহাড়ের কাছেই এই জায়গাটি অবস্থিত। এটিই ভারতের প্রথম বড়সড় লিথিয়াম ভাণ্ডার।
গত বছরও প্রায় ১৬ হাজার টন লিথিয়াম ভাণ্ডারের খোঁজ মিলেছিল কর্ণাটকের মর্বগাল্লা অঞ্চলে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, লিথিয়াম একটি অত্যন্ত বিরল ও অ-লৌহঘটিত ধাতু। এটি মূলত ইলেকট্রিক গাড়ি (Electric Vehicles), মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন জিনিসের ব্যাটারি বানাতে ব্যবহার করা হয়। এই মুহূর্তে ভারত লিথিয়ামের জন্য অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল।
ভারতে ক্রমাগত লিথিয়ামের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বেই একই ছবি। এর কারণ বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। ভারতও বিশ্বের অন্যতম বড় ইলেকট্রিক গাড়ির বাজার। এছাড়াও আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ ব্যক্তিগত গাড়ি ইলেকট্রিক করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। তাই জম্মু ও কাশ্মীরের এই আবিষ্কার দেশকে আত্মনির্ভর হতে আরও কিছুটা সাহায্য করবে। যদিও অশোধিত লিথিয়াম থেকে ব্যাটারি তৈরি সহজ নয়।