মাত্র ২.৫ ঘণ্টায় যাওয়া যাবে ১,০০০ কিমি! জাপানের দ্রুততম বুলেট ট্রেন চলবে ভারতে, কবে শুরু পরিষেবা?

Published on:

Published on:

Japan's fastest bullet train to run in India.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে ভারতে বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ঠিক এই আবহেই আহমেদাবাদ-মুম্বাইয়ের মধ্যে নির্মিত বুলেট ট্রেন প্রকল্পে একটি নতুন আপডেট সামনে এসেছে। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, এই প্রকল্পে জাপানি শিনকানসেন ট্রেনের E5 মডেল ব্যবহার করা হবে। এই E5 মডেলগুলি ২০২৬-২৭ সালে গুজরাট সেকশনে ট্রায়াল রানের জন্য ব্যবহার করা হবে। এরপরে ভারত E10 মডেলগুলি কিনবে। যেগুলি আরও আধুনিক ট্রেন হবে। E10 শিনকানসেন ট্রেনগুলি ২০৩০ সালে ভারত এবং জাপানে একইসঙ্গে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দ্রুত এগিয়ে চলেছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের কাজ:

অর্থাৎ, যে বছর এই ট্রেনটি (Bullet Train) জাপানে চলাচল শুরু করবে, সেই বছরই এটি ভারতেও চলবে। জানিয়ে রাখি যে, E10-কে আলফা এক্সও বলা হয়। যেটি ৪০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলতে পারে। অর্থাৎ, দিল্লি থেকে পাটনা পর্যন্ত ১,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব মাত্র ২.৫ ঘন্টায় অতিক্রম করা যাবে। পাশাপাশি, আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাইয়ের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটার দূরত্ব প্রায় অতিক্রম করা যাবে ১.৫ ঘন্টায়।

প্রথম বুলেট ট্রেন: এই প্রসঙ্গে রেল মন্ত্রকের একজন উচ্চ অধিকারিক জানিয়েছেন যে, দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পটি খুব ভালোভাবে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন যে শুধুমাত্র জাপানি শিনকানসেন ট্রেনগুলি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। এরপরে, তৈরি হওয়া ৫০৮ কিলোমিটার করিডোরে জাপানের সবচেয়ে আধুনিক ট্রেনগুলি চলবে। এর অর্থ হল প্রাথমিকভাবে, জাপানি ট্রেনগুলি পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হবে। তারপর, সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে, সর্বশেষ জাপানি ট্রেনগুলি পুরো রুটে চলবে।

Japan's fastest bullet train to run in India.

ইতিমধ্যেই মন্ত্রক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, “জাপান ও ভারতের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের পরিপ্রেক্ষিতে, জাপান সরকার মুম্বাই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পে E10 শিনকানসেন ট্রেন চালু করতে সম্মত হয়েছে। ভারত ও জাপানে একই সাথে E10 চালু করা হবে।পুরো ৫০৮ কিলোমিটার করিডোরটি জাপানি শিনকানসেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে। এটি গতি, নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য নতুন মান স্থাপন করবে। এটি ভারত ও জাপানের মধ্যে গভীর কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রতিফলন ঘটায়।”

আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে উঠবে ক্রিকেটের ঝড়! সামনে এল শিডিউল, কবে হবে গোল্ড মেডেল ম্যাচ?

এদিকে, সরকার ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF) এবং BEML (Bharat Earth Movers Limited)-কে ২ টি বুলেট ট্রেন তৈরির কাজ দিয়েছে। এই ট্রেনগুলি (Bullet Train) সর্বোচ্চ ২৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলতে সক্ষম হবে। এছাড়াও, বুলেট ট্রেন করিডোরের সিগন্যালিং কাজ সিমেন্স এবং ডিআর আগরওয়াল ইনফ্রাকনের যৌথ উদ্যোগকে অর্পণ করা হয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে যে, এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এখনও পর্যন্ত ৩১০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট (উচ্চ সেতু) নির্মাণ করা হয়েছে। ১৫ টি নদী সেতু নির্মিত হয়েছে এবং আরও ৪ টি নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন: সমস্ত উৎকণ্ঠার অবসান! নিরাপদে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন শুভাংশুদের, শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

মন্ত্রক জানিয়েছে যে, ১২ টি স্টেশনের মধ্যে ৫ টি সম্পন্ন হওয়ার পথে এবং আরও ৩ টি স্টেশনের কাজও শেষ হতে চলেছে। ১.১ লক্ষ কোটি টাকার এই প্রকল্পের জন্য ২১ কিলোমিটার সমুদ্রের তলা দিয়ে অর্থাৎ আন্ডার সি টানেলের প্রথম অংশের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এর অর্থ হল এই প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে এবং শীঘ্রই বুলেট ট্রেনে (Bullet Train) ভ্রমণের সুযোগ মিলবে। এদিকে, ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং ২০৩০ সালে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।