বাংলাহান্ট ডেস্ক : রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat Murder case) উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আগুনের আঁচ ছড়িয়েছে দিল্লি অবধিও। শাসক-বিরোধী কাদা ছোঁড়াছুড়িও অব্যাহত। বগটুই গণহত্যা নিয়ে অভিযোগ প্রতি অভিযোগে উত্তপ্ত বাংলার রাজনৈতিক পারদ। এহেন অবস্থায় এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনতে শোনা গেল সদ্য বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদারকে। তাঁর দাবি পুরো ঘটনাটিই একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত এবং বাংলার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে এই নোংরা চক্রান্ত চালাচ্ছে বিজেপি।
এদিন কুণাল ঘোষের পাশে বসেই তিনি বলেন, ‘গতকাল যখন বিধানসভায় বসে শুভেন্দু সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন, ওনার শারীরিক ভাষা দেখবেন। উনি বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ করবে। উনি কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ নন। তিনি কেন্দ্রের শাসক দলের একজন। কিন্তু তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ করবে। তিনি হাত তুলে বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ৩৫৬ ধারা কি ৩৫৫ ধারা দিয়ে এখানকার সমস্ত ব্যবস্থা নিজেদের হাতে নিয়ে নেবে। মানে একটি নির্বাচিত সরকারকে তাদের দায়িত্ব থেকে সরানোর যে কথা শুভেন্দুবাবু বলেছেন, তাতেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে এই ঘটনার পিছনে।’
এদিন তৃণমূল নেতা আরও বলেন, ‘যেভাবে অনেকেই ৩৫৫ এবং ৩৫৬ ধারার কথা বলছে, তাতে সমস্তটা এক করলে একটি চিত্রনাট্য পরিষ্কার হচ্ছে। এটা চক্রান্ত নয় তো? এটা পুরোটাই গভীরভাবে আগে থেকে ঠিক করা ঘটনা যাতে সারা ভারতের দৃষ্টি এসে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপর। এটা পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করার পরিকল্পনা নয় তো?’
এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দু অধিকারীকে ভয়ানক অভিযোগের তীরে বিদ্ধ করেছেন জয়প্রকাশ। তাঁকে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে বলতে শোনা যায়, ‘শুভেন্দু বলেছিলেন, আমরা যদি একটা নন্দীগ্রাম করিয়ে দিতে পারি তাহলেই কেল্লাফতে। তার মানেই সেটা পরিকল্পিত গণহত্যা। তাতে আমি বলি এই যে তুমি বলছ, কিন্তু নন্দীগ্রামের সময় তো রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়নি। তাতে শুভেন্দু বলেন, তখন তো ছিল ইউপিএ সরকার, এখন কেন্দ্রে আমাদের সরকার। আর আমাদের রাজ্যপাল আছে।’ এরপরই সংশয়সূচক ভাবে প্রশ্ন তোলেন তিনি, বগটুইয়ের ঘটনা সেই ‘আরেকটা নন্দীগ্রামই’ নয়তো?
উল্লেখ্য, তাঁর এহেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘বিজেপির বিশ্বাসঘাতকের’ কোনও কথার উত্তর দেবেন না তিনি এমনটাই জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।