বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, বিহারে (Bihar) পরিবর্তিত হয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। নিজের অবস্থান থেকে ১৮০° ঘুরে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সঙ্গ ত্যাগ করেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। পরবর্তীতে আরজেডি (RJD) এবং কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোটের মাধ্যমে পুনরায় একবার বিহারের ক্ষমতায় বসেন তিনি। তবে এ ঘটনার কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই ভিন রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়লো নীতীশের জেডিইউ (JDU)। তাঁর দলের এক বিধায়ক এদিন যোগদান করলেন বিজেপিতে। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে আরও বহু দলীয় কর্মী সমর্থকদের বিজেপিতে যোগদান বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেশ প্রাসঙ্গিক বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দেশের প্রতিটি রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তার করতে মরিয়া কেন্দ্র বিজেপি নেতৃত্ব। আবার অপরদিকে, বিজেপিকে পরাজিত করতে তৎপর বিরোধীরা। এর মাঝে সম্প্রতি বিহারে ঘটে বড়সড় পরিবর্তন।
বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে লালু প্রসাদের আরজেডি এবং কংগ্রেসের হাত ধরেন নীতীশ কুমার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিহারের ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। তবে তারা যে হার মানতে নারাজ, তা এক প্রকার নিশ্চিত আর এবার অরুণাচল প্রদেশে জেডিইউ বিধায়ককে নিজেদের দলে যোগদান করানোর মাধ্যমে ঠিক সেই বার্তাই পৌঁছে দিলো তারা।
উল্লেখ্য, এদিন অরুণাচল প্রদেশের জেডিইউ বিধায়ক তেচি কাসো যোগদান করেন বিজেপিতে। তবে শুধু কাসোই নন, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে তাঁর বহু সমর্থক এবং অন্যান্য জেডিইউ কর্মী সমর্থকরাও এদিন হাতে তুলে নেন দলীয় পতাকা। সম্পূর্ণ ঘটনায় খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। যোগদান প্রসঙ্গে এদিন একটি টুইট করে নাড্ডা লেখেন, “নতুন কর্মী সমর্থকরা আজ বিজেপিতে যোগদান করেছে। তাদের ভূমিকা রাজ্যের উন্নয়নে এক বিশেষ মাত্রা আনবে। আমাদের সংগঠন আরো শক্তিশালী হবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে বিজেপি। মোট ৪১ টি আসনে জয়লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকারে বসে তারা। পরবর্তীতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (৪ টি আসন) এবং কয়েকজন নির্দল বিধায়ক পদ্মফুল শিবিরের সঙ্গে হাত মেলানোর দ্বারা আরো শক্তিশালী হয় বিজেপির সংগঠন। অপরদিকে, মোট ৭ টি আসনে জয়লাভ করে জেডিইউ। তবে এদিন তাদের বিধায়ক সহ কর্মী সমর্থকদের যোগদানের মাধ্যমে বিজেপি, নীতীশ কুমারকে বিশেষ বার্তা পৌঁছে দিলো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।