‘পয়গম্বরের বিরুদ্ধে বললে দেশ কারাবালায় পরিণত করে দেব’, হুমকি নীতিশের দলের বিধায়কের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের ধর্মীয় উস্কানীমূলক মন্তব্যে উত্তপ্ত দেশীয় রাজনীতি। গতবছর পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দল উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। দল থেকে বহিষ্কৃত হন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। একাধিক জায়গায় শুরু হয় হিংসাত্মক বিক্ষোভ। সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সুযোগ নেয় পাকিস্তান (Pakistan)। অশান্তিতে ইন্ধন জোগায় আইএসআই। কট্টরপন্থীদের মুসলিম সংগঠনগগলির হাতে খুন হন একাধিক ব্যক্তি। এই নিয়ে এবার নতুন বছরে আরও একবার বিতর্ককে উসকে দিলেন জেডিইউ-র এক বিধান পরিষদের সদস্য। গুলাম রসুল বাল্যভি নামে ওই নেতা বলেন, ‘যদি পয়গম্বরের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করা হয় তাহলে মুসলিমরা ভারতের শহরগুলিকে কারবালায় পরিণত করবে।’ গত বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে এক জনসভায় বক্তৃতা রাখেন গুলাম রসুল। সেখানেই এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম গুলাম রসুলের সঙ্গে পরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘কারবালা’ নিয়ে মন্তব্য করার বিষয়টি আবার স্বীকারও করে নেন। এরই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি একথা বলেছি এবং আমি আমার বক্তব্যে অনড়। কারবালার অর্থ, সবকিছু মনুষত্ব এবং ভাতৃত্বকে রক্ষা করতে বাকি সবকিছু ত্যাগ করা।’ এর আগে বৃহস্পতিবার গুলামের বক্ততার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ভাইরাল ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা কারবালায় দাঁড়িয়ে। যদি আমাদের পয়গম্বরকে কেউ অসম্মান করে তাহলে প্রতিটি শহরকে কারবালায় পরিণত করব।’

rasool 2

ওই জনসভায় নূপুর শর্মার বিষয়ে জেডিইউ নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘তথাকথিত কোনও ধর্মনিরপেক্ষ নেতাই এই পাগল মহিলার গ্রেফতারির দাবি করেননি।’ তিনি দাবি করেন, দেশে ‘মুসলিম সেফটি’ আইন প্রণয়ন করতে হবে। তাঁর আরও দাবি, যাতে সবসময় মুসলিম যুবকদের ‘জঙ্গি’ তকমা না দেওয়া হয়, তাই দলিতদের মতোই মুসলিমদের সুরক্ষার জন্যও আইন আনা উচিত। তিনি বলেন, ‘এই সময় দেশে আমাদের সন্তানদের তুলে নিয়ে গিয়ে ১৮-২০ বছরের জন্য জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে জঙ্গি বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। যদি কেউ প্রতিবাদ করতে যাচ্ছে, তাদের লক্ষ্য করে গুলি করা হচ্ছে। মুসলিমদের অধিকার রক্ষার্থে মুসলিম সেফটি অ্যাক্ট আনা উচিৎ।’

জেডিইউ নেতার এই রকম মন্তব্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘নীতিশ কুমার অসহায় মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ধৃতরাষ্ট্রের মতো বসে আছেন এবং বিহারে সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধির অপেক্ষা করছেন।’ বিহারের বিজেপি নেতা নবল কিশোর যাদব দাবি করেন, ‘নীতিশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব ইচ্ছে করে এমন সব মন্তব্য করছেন যাতে মিডিয়া আকৃষ্ট হয়। বিরোধীরা তাদের এই মন্তব্য নিয়েই ব্যস্ত থাকে।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর