বাংলা হান্ট ডেস্ক: ধীরে ধীরে শীত পড়তে শুরু করেছে। আর সপ্তাহ শেষে এই সময় সকলেরই সামনে কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু কোথায় ঘুরতে যাবেন সেটা এখনো ঠিক করতে পারেননি। আপনিও যদি সারা সপ্তাহের কর্মব্যস্ততা ও শহরের কোলাহল থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে চান। তাহলে যেতে পারেন ঝাড়গ্রাম (Jhargram)। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ও হাতি বাড়িতে সপ্তাহের শেষে পরিবার ও প্রিয় জনকে নিয়ে গেলে বেশ ভালো অনেকটা সময় আপনি কাটাতে পারবেন।
উইকএন্ডে ঘুরে নিন গোপীবল্লভপুর–হাতিবাড়ি থেকে (Jhargram)
শীতের মরশুমে বহু মানুষই ঝাড়গ্রাম ঘুরতে যান। কারণ এখানে গেলে হাতছানি দেয় শালবনের জঙ্গল। ডুলুং নদীর সৌন্দর্য ইত্যাদি। তবে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহরের কাছে এখানকার রাজবাড়ি ও ঘোরার তালিকায় নাম তুলেছে। আপনি যদি চান তাহলে পরিবার ও প্রিয় জনকে নিয়ে এখানে বেশ কিছুটা সময় কাটাতে পারেন।

আরও পড়ুন: বিয়ের মরশুমে ফের পরিবর্তন হল সোনা ও রুপোর দামে? জানুন আজকের রেট
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে গোপীবল্লবপুরের রাস্তাটা ভীষণ সুন্দর। যারা লং ড্রাইভে যেতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য একেবারে উপযুক্ত এই জায়গাটি। এখানে গেলে রাস্তায় দেখা মিলবে সুবর্ণরেখার সঙ্গে। পাশাপাশি আপনি এই নদীর তীরে বসে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারবেন। এছাড়াও সুবর্ণরেখার তীরে রয়েছে একাধিক কটেজ ও হোমস্টে। চাইলে আপনি সেখানে একটি রাত কাটাতে পারেন। এখানে ঘুরতে আসলে আপনি দেখতে পাবেন পোবন, কনকদুর্গা মন্দির, চিল্কিগড়, রামেশ্বর মন্দির, রাজা দশরথ মাহাতোর বাড়ি, জামবনীর রাজা গোপীনাথ সিংহের ৩০০ বছরের প্রাচীন রাজবাড়ি ও হাতিবাড়ির মতো জায়গা।
এছাড়াও গোপীবল্লভপুর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরেই পরে হাতিবাড়ি। এখানে শাল গাছের জঙ্গল, ও সুবর্ণরেখা নদীর শান্ত পরিবেশ উপভোগ করার একদম আদর্শ জায়গা। তাছাড়া ঝারগ্রাম এর হাতি দেখতে হলে এখানে একবার আসতেই হবে। কারণ এখানে এলিফ্যান্ট করিডর করা রয়েছে।
কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?
আপনি যদি সড়ক পথে যেতে চান, তাহলে কলকাতা থেকে ৬ নং জাতীয় সড়ক পথ ধরে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) পৌঁছে যান। এখানে যেতে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা। অথবা আপনি হাওড়া থেকে এক্সপ্রেস বা লোকাল ট্রেনে মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ঝাড়্গ্রাম পৌঁছে যাবেন। ঝাড়্গ্রাম থেকে গোপীবল্লবপুর এর দূরত্ব পরে প্রায় ৪২ কিলোমিটার। তাই প্রথম দিন ঝারগ্রাম ও গোপীবল্লভপুর ঘুরে নিন। এর পরের দিন আপনারা যেতে পারেন তপোবন, রামেশ্বর মন্দির ও হাতিবাড়ি। তৃতীয় দিন ভোরে আপনারা সেখান থেকে ফিরে নিজের বাড়িতে চলে আসতে পারেন।












