বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) প্রস্তুতি এখন অতীত। আপতত নিজের ঘর বাঁচাতেই ব্যস্ত কংগ্রেস (Congress)। আর এবার ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) থেকে দিল্লিতে এসে পৌঁছেছে সংকটের মেঘ। প্রশ্ন উঠছে বিহারের পর ঝাড়খণ্ডেও মহাজোট নিয়ে কি বড় খেলা হতে চলেছে? একজন, দু’জন নয়, ঝাড়খন্ডের ৮ জন কংগ্রেস বিধায়ক দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ঝড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের জন্য এই খবর যে কতটা অস্বস্তির তা বলাই বাহুল্য।
সূত্রের খবর, দিল্লি ভ্রমণের আগে এই বিধায়করা রাঁচিতে কয়েক দফা বৈঠক করেছিলেন। বৈঠক মনমত না হওয়ায় তারা দিল্লিতে উড়ে যান। সূত্রের খবর, এই ১২ জন বিধায়ক ঝাড়খণ্ড সরকারের বেশকিছু সিদ্ধান্তে বেশ ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি নতুন সরকারে অংশীদারত্ব না পেয়েও মনঃক্ষুন্ন হয়েছে। ওদিকে এই ১২ জন বিধায়কের পেছন পেছন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুরের সঙ্গে দিল্লি পৌঁছেছেন চম্পাই সোরেনও।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বর্তমান সমীকরণ
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, বিধায়কদের বিদ্রোহী সুর আরেকটু চড়াও হলেই চম্পাই সরকারের হিসাব ভেস্তে যেতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মোট ৮২ আসনের মধ্যে ১টি আসন খালি ছিল। যেখানে মহাজোটের পক্ষে ভোট ছিল ৪৭টি এবং NDA-র পক্ষে ভোট ছিল মাত্র ২৯টি।
আরও পড়ুন : ‘পুতিনকে একটু বোঝান, এটা বিপজ্জনক’, রাশিয়াকে থামাতে ভারতের কাছে কাতর আবেদন আমেরিকার
চম্পাই সরকারের পতন হবে?
মহাজোট সরকার বজায় রাখার জন্য, কংগ্রেস হাইকমান্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতার আগে তাদের সমস্ত বিধায়ককে হায়দরাবাদে পাঠিয়েছিল। কিন্তু এখন যদি বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা সোরেন সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলে মহাজোট সরকার সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে এবং এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছাকাছি চলে আসবে।
আরও পড়ুন : উন্নতি ভারতের, গণতন্ত্র সূচকে বড় লাফ! জুটল বিশেষ তকমাও
বিধায়ক ভাঙলে সমীকরণ কী হবে?
যদি এই ১২ জন কংগ্রেসের জোটের বিরুদ্ধে যায় তাহলে মহাজোটে মাত্র ৩৫ জন বিধায়ক থাকবে। সেখানে NDA-র আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪১। যদিও ক্ষুব্ধ বিধায়কদের অসন্তোষের কারণ খুঁজে বের করতে এআইসিসি মধ্যপ্রদেশের সিনিয়র নেতা উমং সিংগারকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে। আজ ১২ জন বিধায়কের সাথে বৈঠকে বসতে পারেন উমং সিংগার।