JHM ভাইদের হাত দিয়েই দুবাই পাচার হত গরু পাচারের টাকা! চার্জশিটে দাবি ED-র, জানেন এদের আসল পরিচয়?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গরু পাচার (Cow Smuggling Case) নিয়ে ইডি (Enforcement Directorate) যে চার্জশিট দিয়েছে সেখানে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর নাম। এনামুল হকের সঙ্গে জেএইচএম (JHM Brothers) ভাইদেরও পাচার চক্রের মাথা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে কারা এই ‘জেএইচ ব্রাদার্স’?

তদন্তকারী আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, তিন ভাইয়ের নাম জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ুন কবির ও মেহেদি হাসান। এই তিন ভাই সম্পর্কে এনামুলের তিন ভাগ্নে। ইডি’র চার্জশিটে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, আব্দুল লতিফ পশুহাট থেকে যে গরু কিনে মুর্শিদাবাদে ট্রাকে করে পাঠাতেন, সেই গরু পৌঁছত ওমরপুর মোড়ে সোনার বাংলা অফিসে। এখান থেকেই গরুগুলিকে একাধিক ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হত।এই সোনার বাংলা অফিসের দায়িত্ব ছিল এনামুলের ভাগ্নে হুমায়ুন কবিরের ওপর।

ed

ইডি চার্জশিট থেকে স্পষ্ট, এনামুলের মতো এই তিন ভাগ্নেও গরু পাচারে যুক্ত ছিল।এরপরই প্রশ্ন ওঠে সিবিআই এখনও পর্যন্ত গরু পাচার নিয়ে যে চারটি চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতে এই জেএইচএম ভাইদের কোনও উল্লেখ নেই কেন? এরই মধ্যে জেএইচএম ভাইদের একজন হুমায়ুন কবিরকে সিবিআই নিজেদের তদন্তে অভিযুক্ত না করে সাক্ষী করেছে।

তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, এনামুল হক এবং তাঁর তিন ভাগ্নে একসঙ্গেই গরু পাচারের সিন্ডিকেট চালাতেন। ২০১৮ সালে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কম্যান্ড্যান্ট জিবু ডি ম্যাথিউ নগদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে গ্রেফতারের সূত্র ধরেই মার্চ মাসে কলকাতা থেকে এনামুল হককে গ্রেফতার করে সিবিআই। এনামুল সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার পরেই গরু সিন্ডিকেট চালানোর পুরো দায়িত্ব বর্তায় ভাগ্নেদের ওপর।

আর, তখন থেকেই গরুর ব্যবসার একটা বড় অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার করা শুরু করে জেএইচএম ভাইরা। এনামুল নিজে এর আগে গরুর টাকার একটা অংশ বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যবসায় লগ্নি করেছিলেন। জেএইচএম ভাইরা বাংলাদেশের পাশাপাশি দুবাইতে গরুর টাকা পাচার শুরু করে। মূলত সস্তার জামা কাপড় ভারত থেকে দুবাইতে রফতানি শুরু করে জেএইচএম গ্রুপ। সেখানে নিজেদের শেল কোম্পানি মারফত সেই সস্তার জামা কাপড় বেশি দামে কেনা হত বলে জানা যায়।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর