বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অবশেষে নিজের সুদীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ করেছেন চাকদা এক্সপ্রেস। এরপরেও ঝুলন গোস্বামী হয়তো ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠে নেমে চলবেন এবং খুব সম্ভবত আগামী বছর মহিলাদের আইপিএলে খেলতে দেখা যাবে তাকে। কিন্তু এতকাল যে নীল জার্সি তার জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল সেটি আর গায়ে চাপাতে দেখা যাবে না তাকে।
সচিন টেন্ডুলকার, মিতালী রাজদের মতোই জনপ্রিয় ঝুলনের কেরিয়ার। তিনি একাধিকবার প্রমাণ করেছেন যে বয়স কেবল একটি সংখ্যা মাত্র। ৪০ বছরে পা দেবার মাত্র একমাস আগে নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ইতি টেনেছেন তিনি। কিন্তু তার এনার্জি এবং উদ্যম দেখে এখনও কেউ এই অভিযোগ করতে পারবেন না যে তিনি বয়সের ভারে ক্লান্ত হয়ে খেলা ছেড়েছেন।
সম্প্রতি তার সামনে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল যে ক্রিকেট ছাড়ার পদ আপাতত কিভাবে সময় কাটানোর ইচ্ছে তার। সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘‘সময় একরকম ভাবে চলে যাবে ঠিক। ক্রিকেটের সঙ্গেই তো জুড়ে থাকবো। এখনই তো আমি বাংলা দলের মেন্টরের দায়িত্বে আছি। কিছু সময় পরে কোচিং নিয়েও ভেবে দেখার ইচ্ছে আছে। ক্রিকেট ছেড়ে থাকতে পারবো না এটুকু বলতে পারি।”
সকলেই জানেন যে ভারতের অনেক ক্রীড়াবিদই খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পরে রাজনৈতিক আঙিনায় নিজেদের নাম তৈরির চেষ্টা করেন। গৌতম গম্ভীর থেকে শুরু করে রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, কল্যাণ চৌবে থেকে শুরু করে নভজ্যোৎ সিং সিদ্ধু, মনোজ তিওয়ারি থেকে শুরু করে অশোক দিন্দা, উদাহরণ রয়েছে অজস্ত্র। ঝুলনকে যদি এমন কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাহলে তার সিদ্ধান্ত কি হবে সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে।
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন ‘‘রাজনীতি আমার আসে না, আমি কিছুই বুঝি না ওই সম্পর্কে। দেশের হয়ে এতদিন ক্রিকেট খেলে অনেক কিছু পেয়েছি, অর্জন করেছি, এরপর এখন আমার সময় নিজের দেশকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার। তবে সেই জন্য রাজনীতির আশ্রয় নেওয়ার দরকার হবে না।’