চীনের (china) অংশ নয় তাইওয়ান (taiwan), এই মন্তব্য করেই বেজিং এর রোষে পড়লেন মার্কিন (USA) বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও। তার মন্তব্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়েছে চীনের তরফে। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা হচ্ছে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে।
চীন ও আমেরিকার মধ্যে ঠান্ডা স্নায়ুর লড়াই বহু বছরের। ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তা আরো বেড়েছে৷ সম্প্রতি জো বাইডেনের কাছে হেরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদায় নিলেও সেই সম্পর্ক এর উন্নতি হয় নি এখনো।
মাইক পম্পেও এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, চীনের অংশ নয় তাইওয়ান। এই বিষয়টিতে প্রায় ৩৫ বছর আগের রোনাল্ড রেগান প্রশাসনের নীতিই মেনে চলবে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের মতো গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে সাহায্য করতে সদা প্রস্তুত আমেরিকা। ভবিষ্যতেও তার অন্যথা হবে না।
এই মন্তব্যের পালটা দিতে গিয়ে চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা চীনের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনো দেশের নাক গলানো কোনো ভাবেই বরদাস্ত করবে না। এবং তা করতে গেলে যোগ্য জবাবও দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, চীন ও আমেরিকার মধ্যে যে বিবাদ চলছে তাতে তাইওয়ান সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয়। মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব এই বিষয় সমাধানের বদলে বিতর্কিত মন্তব্য করে তা আরো জটিল করে তুলছেন। যদিও মাইকের এই মন্তব্যকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাইওয়ান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জোয়ান উ। তিনি তার কথার অনুরণন করেই বলেছেন তাইওয়ান স্বাধীন, চীনের অংশ নয়।