বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ পয়লা বৈশাখ। নতুন ভাবে সেজে উঠেছে গোটা রাজ্য। চারিদিকে খুশির বাতাবরণ। নব রূপে সেজে উঠেছে সুন্দরী তিলোত্তমাও। তবে একটি কয়েনের যেমন দুটি দিক, শহরের চিত্রটাও ঠিক তেমন। না আছে নতুন বছরের আনন্দ, বছরের প্রথম দিনটাও কাটছে ধর্নামঞ্চেই। বাইরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এরই মধ্যে সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রান্ত করে লড়াইয়ের ময়দানে একজোট তারা। আজও সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ধর্না (Dharna) চালিয়ে যাবেন আন্দোলরত চাকরিপ্রার্থীরা (Job Protesters)। সময় বেঁধে দিয়েছে মহামান্য আদালতই।
উল্লেখ্য, আজ তাদের ৭৬০ দিন৷ প্রখর রোদে, গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন৷ তার মধ্যে সবথেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে রোজাদারদের। তবে এ আন্দোলন হকের আন্দোলন। যে কোনো পরিস্থিতিতেই তা চলবে। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যেই একজন শহিদুল্লাহ বলেলন, “রোজা রেখেছি বলে জলও খাচ্ছি না সারা দিন। অনেকেই রোদে বসে রয়েছে। যতই কষ্ট হোক ধর্না তুলে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”
একদিকে গান্ধী মূর্তির নীচে ধর্নায় বসে রয়েছেন নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধর্না চালাচ্ছেন উচ্চ প্ৰাথমিক, প্রাথমিক, ‘গ্রুপ ডি, ‘গ্রুপ সি এবং নতুন করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার দাবি জানানো চাকরিপ্রার্থীরা৷ গান্ধী মূর্তি ও মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে স্কু সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মেধা তালিকায় নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থী থেকে শুরু করে সরকারের চতুর্থ শ্রেণির চাকরি-প্রার্থীদের আন্দোলন চলছে।
চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট তাদের। অনেকেই শুয়ে পড়ছেন সেখানে। ওআরএস এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছেন তারাই। ১০ থেকে ৫, শুধুমাত্র বিস্কুট খেয়েই দিন কাটছে সকলের। আন্দোলনরত এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “ফুটপাতের ধারে বসে থাকতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। একটু পরপরই আগুনের হলকার মতো হাওয়া আসছে তবুই এ লড়াই চলবেই।’