বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা ছবির পর এবার বাংলা গান (Bengali Song)। বাংলার শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন উঠছে সর্বত্র। দিন কয়েক আগে এই কথাটা বলতে গিয়েই জাতীয় স্তরের গায়ক কেকে কে অপমান করে বসেছিলেন শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)। তারপর কী হয়েছিল তা এতদিনে সকলেরই জানা। এখনো সে বিতর্ক স্তিমিত হয়নি। এর মাঝেই সুরকার জয় সরকার (Joy Sarkar) মন্তব্য করলেন, বাংলা গানের পাশে দাঁড়ান এই কথাটাতেই তাঁর আপত্তি।
আনন্দবাজার অনলাইনের সাক্ষাৎকারে জয়ের প্রশ্ন, বাংলা গানের পাশে দাঁড়ান বলে আবেদন কেন করতে হবে? ভিক্ষা কেন চাইতে হবে? বরং নিজেদের কাজটা ঠিক করে করলেই আর বলার দরকার পড়বে না যে বাংলা গান কেউ শোনে না। অনেকে বলেন, মিউজিক ভিডিও ছাড়া শুধু গান শোনায় মজা নেই। কিন্তু জয় বলেন, এই ধারণাটা ভুল। গান তো কানে শুনে উপভোগ করার জিনিস। চোখে দেখার নয়।
অভিযোগ উঠেছিল, বাঙালি নাকি মুম্বইয়ের শিল্পীদের গান বেশি শোনে। অথচ প্রতিভাবান বাংলার শিল্পীদের পাশেই দাঁড়ান না। কলকাতার শিল্পীরা নাকি মুম্বইয়ে তেমন গুরুত্ব পান না, যতটা বলিউডি গায়খ গায়িকারা এখানে পান। জয় বলেন, সর্বভারতীয় মঞ্চে প্রতিযোগিতা অনেকটাই বেশি। কিন্তু কলকাতাতেও তো প্রতিভার কমতি নেই। তবুও সবাই কি সমান গুরুত্ব পান? প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।
এখনকার বেশিরভাগ বাংলা রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের আসনে দেখা মেলে অবাঙালি মুম্বইয়ের শিল্পীদের। এই ব্যাপারটায় জয়ও আপত্তি প্রকাশ করেছেন। তবে ওটা চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর কৌশল বলেই মন্তব্য করেন তিনি। তিনি নিজেও বেশ কিছু রিয়েলিটি শোয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। তার মধ্যে একটিতে কেকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়েছিল তাঁর।
স্মৃতিচারণ করে জয় বলেন, খুব কম কথা বলতেন কেকে। কারোর সঙ্গে যোগাযোগও রাখতেন না তেমন। তাই নিয়ে আবার শঙ্কর মহাদেবন বকাও দিয়েছিলেন গায়ককে। শুনে শুধু হেসে ছিলেন কেকে। জয়ের অনুরোধে ‘জারা সা দিল মে দে জাগাহ তু’ গানটি গেয়ে শুনিয়েছিলেন।
সেই মানুষটাই এখন নেই। কথা বলার মতো ক্ষমতা ছিল না জয়ের। এমন একটা মানুষকে হারিয়ে তিনিও ভেঙে পড়েছিলেন আরো অনেকের মতোই। তবে রূপঙ্করের একটা মন্তব্যের জন্য যারা তাঁর নখেরও যোগ্য নয়, তাদের কটুক্তি আরো বেশি আঘাত দিয়েছে জয়কে।