বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠদের পরীক্ষা হলে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয় এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন আরজিকর কান্ডের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctor)। তাই তাঁরা দাবি তুলেছিলেন পরীক্ষার হলে স্বচ্ছতা বজায় রেখে পরীক্ষা নিলে বহু ছাত্র-ছাত্রী ১০% নম্বরও পাবেন না। সেই দাবি মেনে শুরু হয়েছে তোড়জোড়।
লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তি জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctor)
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরীক্ষা হলে লাইভ স্ট্রিমিং সহ বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন। সেই মতো শুরু হয়েছে কাজও। তবে এই খবর সামনে আসতেই এবার বেঁকে বসেছেন বিদ্রোহী জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctor)। তাঁদের দাবি যে এভাবে বুমেরাং হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctor)। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারাই পরীক্ষা হলে নিয়মের কড়াকড়ি শিথিল করার দাবিসহ একাধিক দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কর্তৃপক্ষের কাছে।
প্রথমে হোস্টেলের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানানোর পরেই আসল কথায় আসেন তাঁরা। ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসে বিড়াল। মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে অষ্টম সেমিস্টার শুরু হয়ে যাচ্ছে। তার আগে মোট ১৫ জন পড়ুয়া সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দেওয়ার সময় বুঝে যান আসন্ন সেমিস্টারের সময় বেশ ভালো রকম কড়াকড়ি চলবে পাশাপাশি।
মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি পরীক্ষার হলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোরও বন্দোবস্তও করেছেন। তাই এই কড়াকড়ি থেকে রেহাই পেতেই ইতিমধ্যে কুড়ি পঁচিশ জন ডাক্তারি পড়ুয়া এদিন ডিন এবং অধ্যক্ষের শরণাপন্ন হয়েছেন। এপ্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুনিয়সে চিকিৎসক বলেছেন,’একথা ঠিক, আমাদের মূল দাবি ছিল হস্টেলে পর্যাপ্ত রুমের ব্যবস্থা করা। তা না হলে পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। তবে, সাপ্লি পরীক্ষায় কড়াকড়ি হওয়ায় অনেকে আতঙ্কিত। সেকারণেই তা কিছুটা শিথিল করার জন্য বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শীতের মাঝেই টানা ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে! কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার আগাম খবর
অন্যদিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘পড়ুয়ারা এদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এসেছিল। পরীক্ষার হলে গার্ডের বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্যভবন যে গাইডলাইন দিয়েছে সেভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। লাইভ স্ট্রিমিংও করা হবে। ওদের হস্টেলের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কিছুদিন আগেই এক বিদ্রোহী চিকিৎসকের অডিও ক্লিপ সামনে এসেছিল।সেখানে তিনি এক জুনিয়রকে পরীক্ষার হলে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ফোনের ওপারে থাকা পড়ুয়া তিনি বলেছিলেন তিনি নাকি নিজেই পরীক্ষার হলে থাকবেন। কিন্তু আন্দোলনের সময় তিনিই সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন।