যারা তৃণমূল ছেড়ে যাচ্ছেন তাদের এবার প্রশাসন খুঁজবে। ছাড়া পাবে না : জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

গত কয়েকদিনে তৃণমূল (tmc) ছেড়েছেন একের পর এক হেভিওয়েট৷ দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন আরো বেশ কিছু নেতা মন্ত্রী। এবার তাদের বিরুদ্ধেই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (jyotipriya mallik)৷ উত্তর ২৪ পরগনার এই দাপুটে তৃণমূল বিধায়ক এদিন মন্তব্য করেন, তৃণমূল ছেড়ে যারা অন্যদলে যাচ্ছেন তাদের জন্য দলের রাস্তা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। পাশাপাশি সৎ নেতাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বানও জানান তিনি।

image 4 2

খাদ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “এবার তো খোঁজা শুরু করবে। আমরা খোঁজা শুরু করব না প্রশাসন খোঁজা শুরু করবে৷ ছাড়া পাবে না। যেকটা লোক যাচ্ছেন আপনি জেনে রেখে দিন, আমি নাম করে কারো বলব না সবকটা এজেন্সির প্রেশার৷ অন্য কোনো কারনে এরা যাচ্ছে না। আদর্শ এদের কাছে নেই।” তিনি আরো বলেন, তৃণমূল একটা বড় বটগাছ। ছ’টা পাতা ঝরে গেলে কিছু হবে না৷ একমাসের মধ্যে ছ’টা নতুন পাতা গজিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের পূর্বেই কিছুদিন ধরে তৃণমূলের দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে বেসুরো গান গাইতে শুরু করেছেন অনেকেই। দলের বিরুদ্ধে, দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে, এমনকি তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের নামেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেক দলীয় শীর্ষ স্থানীয় নেতারাই। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, দিদির কথা শুনতে রাজী থাকলেও, তারা পিকের কথা শুনবেন না। দলে নতুন ছেলেরা এসে, তাদের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।

ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর পর আসানসোলের বিদায়ী মেয়র এবং পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি আচমকাই তৃণমূলের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। দল ছেড়েছেন শীলভদ্র দত্তও। আবার কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল কুমার মণ্ডলও গিয়ে নাম লেখাতে পারেন গেরুয়া শিবিরে।

 

সম্পর্কিত খবর