বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের পর থেকেই কার্যত রাজ্য রাজ্যপাল (Governor Jagdeep Dhankar) সংঘর্ষ আরও চরমে উঠেছে। অন্যদিকে প্রতি পদে শাসকদলের কাজের সমালোচনায় মুখর বিরোধীরাও। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এর আগেও একাধিকবার বলেছে, রাজ্যপাল কার্যত কাজ করছেন বিরোধী দল বিজেপির (BJP) হয়ে। এবার ফের একবার রাজ্যপাল এবং বিরোধী দল বিজেপি সিপিএম (CPM) কংগ্রেসকে (Congress) একহাত নিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা হাবড়া ব্লক অফিসে একটি নতুন শববাহী গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। সেই অনুষ্ঠান থেকেই কার্যত রাজ্যপাল এবং বিরোধীদের চরম কটাক্ষের সুরে বেঁধেন তিনি।
রাজ্যপাল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, রাজ্যপালকে কার্যত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজভবনকে তিনি বিজেপির সদর দপ্তর বানিয়ে ফেলেছেন। একজন রাজ্যপাল হয়ে এ ধরনের ভাষা প্রয়োগ করতে পারেন না তিনি। তার পদত্যাগ করা উচিত বলেও এদিন মন্তব্য করেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের পদত্যাগ করে চলে যাওয়া উচিৎ। তাঁর বেশ কিছু কেস উঠে আসছে। রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্র।”
শুধু রাজ্যপাল নয় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এবং সিপিএম কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও আজ সুর চড়ান বনমন্ত্রী। তার মতে এরা অকম্মার ঢেঁকি। কোনো কাজ করেননি, একজনকেও টিকার জন্য নিয়ে যাননি। এদিন বিরোধীদের মুখে লিউকোপ্লাস্ট আটকে চুপচাপ বসে থাকারও পরামর্শ দেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। তিনি বলেন, “আগামী ২০২৬ সালে আবার রাজনীতি করুন। এখন থেকে আর চিৎকার করা উচিৎ নয়। গলা ভেঙে যাবে। মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে চুপচাপ বসে থাকুন। ৫ বছর আমাদের উন্নয়নটা করতে দিন।”
একুশে নির্বাচনের পর থেকেই আগামী লোকসভায় দিল্লিকে টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মিশন ২০২১-এর পর তৃণমূলের আগামী লক্ষ্য মিশন ২০২৪। এদিন এ বিষয়েও মুখ খোলেন বনমন্ত্রী। তার মতে, একের পর এক ভ্রান্ত নীতি অনুসরণ করছে বিজেপি। যার জেরে চব্বিশের লোকসভায় তাদের পতন নিশ্চিত। একের পর এক ভুল নীতির কারণেই মানুষ মোদী সরকারের পতন ঘটাবে। তার মতে প্রধানমন্ত্রী কথা রাখতে পারেননি। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি মানুষকে দেওয়া কথা রেখেছেন। আর সেই কারণেই পতনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে মোদী সরকারকে।
শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে এখন এমনিতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিশেষত শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকে একের পর এক ক্ষেত্রে তিনি আক্রমণ করে চলেছেন মমতা ব্যানার্জির(Mamata Banerjee) সরকারকে। আজ তারই কিছুটা জবাব দিলেন বনমন্ত্রী। এখন জ্যোতিপ্রিয়বাবুর এই বক্তব্য বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি কিভাবে নেয় দিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে। যদিও বনমন্ত্রী এও বলেছেন বিজেপি এবং সিপিএম কংগ্রেসের কেউ যদি ভালো কাজ করেন তাহলে সরকার তাকে সহায়তা করবে।