যৌনাঙ্গের আকার থেকে হস্তমৈথুন! কবীর সুমনের অশ্লীল ‘কবিতা’ নিয়ে ধিক্কার রাজ্য জুড়ে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিতর্ক এবং কবীর সুমন যেন সমার্থক হয়ে উঠেছেন বর্তমানে। এককালে শব্দে ম্যাজিক রচতে পারতেন যিনি, এখন তাঁর কলমে শুধুই তথাকথিত অশ্লীলতা। কখনও বাঙালি এবং বাংলা ভাষার ‘মা মাসি এক করে’ চূড়ান্ত অশ্লীল গালাগালি আবার কখনও কোনও এক কবিপত্নীর উদ্দেশ্য ‘সফট পর্ণ’ জাতীয় কবিতা। বাঙালিকে হতাশ করতে কোনও চেষ্টাই যে বাকি রাখেননি তিনি তা বলাই বাহুল্য।

সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর লেখা একটি পোস্টকে ঘিরে রীতিমতো ছিছিক্কার বাংলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে। একটি কবিতায় ‘পূর্বা’ নামক কোনও এক নারীকে উদ্দ্যেশ্য করে যৌনতার বিবরণ লিখেছেন কবীর সুমন। সেই কবিতা উঠে এসেছে যৌনাঙ্গের আকার, শিৎকার, হস্তমৈথুন ইত্যাদির মতন বিষয় গুলিও। একই সঙ্গে যেন প্রছন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবেই বলা হয়েছে তাঁদের সেই উদ্দাম যৌনতার রেকর্ডিং এর কথা। তা ভাইরাল হবে কি না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে সেই ‘পূর্বার’ কাছে।

Rahul Arunoday Banerjee Reaction 0

কোনও ভাষার কোনও সাহিত্যই আজ অবধি শ্লীল অশ্লীলের সীমা বেঁধে দিতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু যে কবীর সুমনের তোমাকে চাই প্রেমে ফেলত বাঙালিকে, যে ‘গানওয়ালার’ ‘আরেকটা গান’ শুনতে চেয়ে হা করে অপেক্ষায় থাকত বঙ্গবাসী সেই কবীর সুমনের কলমে কোনও এক মহিলার সঙ্গে করা যৌনতা নিয়ে লেখা ‘চটি’ পদ্যকে বোধহয় কোনও মতেই গ্রহণ করা সম্ভব নয় বাঙালির পক্ষে।

তাঁর এহেন পোস্টের প্রেক্ষিতে রীতিমতো ধিক্কার জানিয়েছেন বাংলার শিল্পী এবং বুদ্ধিজীবী মহল। সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চট্টোপাধ্যায়, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু বিশিষ্ট মানুষই তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তাঁকে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের দাবি কবীর সুমনের এই সমস্ত কাজে প্রতিবার এক একটা করে গান মারা যায়। বিকৃত অবস্থায় এদিক ওদিক পড়ে থাকে থ্যাতলানো ঝলসানো গানের মৃতদেহ গুলি। অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য নাম না করেই লিখেছেন, ‘মানুষ হওয়া তো ছেড়েছ কয়েক বছর আগে, তোমার কি জন্তু হতে এতো ভালো লাগে?’

Srijit Mukherjee 0

বিশিষ্ট মহলের কারও কারও দাবী মানসিক ভারসাম্য সম্পুর্ণরূপে হারিয়েই ফেলেছেন কবীর সুমন। সেই কারণেই তাঁর মতন এক শিল্পীর কলমে আজ এই রকম লেখার জন্ম। বরাবরই সাহসীকতার জন্য খ্যাত তিনি। তাঁর গানে অনায়াসে উঠে আসত বিভিন্ন তথাকথিত না বলতে পারা কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে যে সম্পুর্ণ ‘সাহসীকতার কনটেক্সট’টিকেই ভুল বুঝেছেন গায়ক তা সত্যিই বাঙালির দুর্ভাগ্য। প্রসঙ্গত, কবিটাতি কাকে উদ্দ্যেশ্যে করে লেখা, কীই বা এর মাথা মুন্ডু তা বোধগম্য হয়নি অনেকেই। তবে অনেকেরই দাবি, অন্য আরেক খ্যাতনামা কবির স্ত্রীর নামের সঙ্গে মিল রেখেই এই কবিতায় ‘পূর্বা’ নামটি ব্যবহার করেছেন সুমন। সম্প্রতি সেই কবির সঙ্গে তাঁর ঝামেলাও হয়েছিল বলেই খবর।

তাঁর মত প্রবাদপ্রতিম শিল্পী শেষ লগ্নে এসে কেন করেন একের পর এক এহেন বিতর্কিত কাজ? সত্যিই কি মস্তিষ্ক বিকৃতি নাকি নেহাতই প্রচারের আলোয় থাকার মরিয়া চেষ্টা? তার সত্যিই উত্তর নেই কোনও। তবে একের পর এক এরকম কাজের ফলে যে বাঙালির হৃদয়ের সিংহাসন থেকে ক্রমেই সবচেয়ে ঘৃণার শিল্পী হয়ে উঠছেন তিনি, তা বলাই বাহুল্য।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর