বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় তৃণমূলের নির্বাচনী হাতিয়ার গুলির মধ্যে অন্যতম এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জি (NRC)। তবে গেরুয়া শিবিরের (BJP) অভিযোগ, ‘মানুষের নাগরিকত্বের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে, এই ভয়ই দেখাচ্ছে শাসকদল’। তা নিয়ে এবার সাফ বার্তা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। তিনি জানালেন, বিজেপির এমন কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে নির্বাচনে জিতলে নয়া নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী করতে বিজেপি যে আগ্রহী, তারও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এনিয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আরও জানান যে, ‘নির্বাচনী ইস্তাহার অনুযায়ী সিএএ (CAA) চালু করার ইচ্ছে রয়েছে। কারণ যারা ধর্মের নামে হত্যালীলার হাত থেকে বাঁচতে এদেশে পালিয়ে এসেছে, তাঁদের নাগরিকত্ব দিতে চায়। এটা গেরুয়া শিবিরের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য প্রচারের অভিযোগ তুলে জানান, ‘সিএএ তে বাংলা সহ দেশের প্রায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন।’
প্রসঙ্গত, অমিত শাহ (Amit Shah) সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, ‘এনআরসি নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও পরিকল্পনা নেই, তবে ক্ষমতায় এলে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ কৈলাসের কথাইও এদিন সেই একই সুর লক্ষ করা যায়। এছাড়াও এদিন নির্বাচন কমিশন গেরুয়া শিবিরের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তৃণমূলের এই অভিযোগ নিয়ে সরব হন তিনি। কৈলাশ এদিন বলেন ‘পূর্বের দুটি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল (TMC) নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তোলেনি, তবে এই নির্বাচনে নিজেদের হার আন্দাজ করতে পেরেই এমন বোকা বোকা অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।
একইসঙ্গে, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়েও তিনি বলেন, ‘বিজেপির একাধিক নেতা মুখ্যমন্ত্রীর হওয়ার যোগ্যতা রাখে। তবে গেরুয়া শিবির প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) নেতৃত্বে লড়াই করে, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে লড়াই করেনা। তবে নির্বাচন শেষের পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এদিন শাসকদলকে একহাত নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল নাম পরিচয়ে রাজনীতি প্রথার সূচনা করেছে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সেই প্রথায় ইতি টানা হবে।’