বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশ ATS মুজফরনগর থেকে অবৈধ ধর্মান্তকরণের দেশব্যাপী সিন্ডিকেট চালানোয় অভিযুক্ত প্রসিদ্ধ ইসলামিক বিদ্যান মৌলানা কলিম সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করেছে। ATS’র মতে, বিদেশ থেকে তাঁকে এই কাজের জন্য টাকা পাঠানো হত। মৌলানার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, উনি মানুষকে প্রভাবিত করে দেশে শরিয়ত আই লাগু করা আর জনসংখ্যার অনুপাত বদলে ফেলার জন্য বৃহৎ স্তরে ধর্মান্তকরণ করাতেন।
UP ATS has arrested Maulana Kaleem Siddiqui, a resident of Muzaffarnagar, in connection with India's largest religious conversion syndicate busted by the ATS. He runs Jamia Imam Waliullah trust that funds several madrassas for which he received huge foreign funding: Police pic.twitter.com/XxHIYhxJKx
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) September 22, 2021
ATS’র আধিকারিকরা জানান, সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তাঁর উপর দীর্ঘদিন ধরেই নজর রাখা হচ্ছিল। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সিন্ডিকেট কতদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে আর কে কে যুক্ত রয়েছে এর সঙ্গে সেগুলি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশ ATS অনুযায়ী, মুজফরনগরের বাসিন্দা মৌলানা কলিম সিদ্দিকি দিল্লিতে থাকেন সেখান থেকেই তিনি তাঁর বিভিন্ন প্রকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক এবং ধার্মিক সংস্থার আড়ালে অবৈধ ধর্মান্তকরণের কাজ চালান, আর এরজন্য বিদেশ থেকে টাকাও আসে। ATS জানায়, মৌলানা অমুসলিমদের বিভ্রান্ত করে আর ভয় দেখিয়ে তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করায় এবং তাঁদেরও এই কাজেই লাগিয়ে দেয়।
মৌলানা কলিম জামিয়া ইমাম বলিউল্লা নামের একটি ট্রাস্টও চালান। এছাড়াও বহু মাদ্রাসাকে টাকা দেন তিনি আর এরজন্য বিদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে তাঁর ফান্ডে অনেক টাকাও আসে। মৌলানা ওই মাদ্রাসার আড়ালে ‘পয়গাম-ই-ইনসানিয়াত এর বার্তা দেওয়ার অছিলায় মানুষকে জন্নত, জাহান্নুমের লোভ আর ভয় দেখিয়ে ইসলাম কবুল করতে প্রেরিত করেন আর তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অন্যদেরও ধর্মান্তকরণের জন্য ব্যবহার করেন।
Investigation shows Maulana Kaleem Siddiqui's trust received Rs 3 crores in foreign funding including Rs 1.5 crores from Bahrain. Six teams of ATS have been formed to investigate this case: Uttar Pradesh ADG (Law and Order) Prashant Kumar pic.twitter.com/QQAKI63YMe
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) September 22, 2021
এডিজি আইন শৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার জানান, এখনও পর্যন্ত করা তদন্তে মৌলানার ট্রাস্ট জামিয়া ইমাম বলিউল্লায় বাহরিন থেকে দেড় কোটি টাকা সহ মোট তিন কোটি টাকার ফান্ডিংয়ের প্রমাণ মিলেছে। এটিএসের ছয়টি টিম এই মামলায় তদন্ত করছে। মৌলানা কলিম সবাইকে এই বলে উস্কাত যে, শরিয়ত আইন লাগু হলে সবাই ন্যায় পাবে।