বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হিন্দু ধর্মের মা কালী (Ma Kali) যেমন প্রলয়ের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে অসুর কূলকে শেষ করেছিলেন, ভারতের (India) কাছেও কিন্তু ঠিক তেমনই একটি রক্ষাকবজ আছে, যা দিয়ে ভারত চাইলে যেকোন মুহূর্তে কোন দেশকে ধূলিস্মাত করে দিতে পারে।
কালী… নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মা দূর্গার প্রলয়ঙ্করী একটি রূপ, যার সামনে নত হত হয়েছিল রক্তবীজও। তেমনই ভৈরবীর পূজারী, ভারতও চাইলে যেকোন সময়ে তার এক গুপ্ত শক্তির প্রকাশ ঘটিয়ে, যেকোন শক্তিশালী দেশকে নিমেষে শেষ করে দিতে পারে। ভারতের এই শক্তি হল কালী (KALI)। অর্থাৎ কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়ার ইনজেক্টার (Kilo ampere linear injector)।
কি এই কালী?
বিশ্বের ক্ষমতা সম্পন্ন দেশগুলো যখন লেজার রশ্মির দিকে ছুটছিল, তখন ভারত কিন্তু তাঁর থেকেও ভয়ঙ্কর এক ক্ষমতার অধিকারী উঠেছে। এই কালী ৫০০০ প্রথমদিকে ০.৪ গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন স্রোত ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল। ধীরে ধীরে শক্তিবৃদ্ধি করে ৪০ গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন স্রোত ছাড়তে সক্ষম হয়েছে এই অস্ত্র।
কালীর সূচনাকাল
সেই ১৯৮৫ সাল থেকেই এই অস্ত্র তৈরির কাজে ব্রতী হয়েছিল ভারত। প্রথমে এই অস্ত্রের ক্ষমতা সম্বন্ধে বিশেষ কিছু না বললেও, ধীরে ধীরে সেনাবাহিনীতে এই অস্ত্রের প্রবেশের ফলে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায়।
দেশের শিল্পোন্নতির কাজে ব্যবহৃত হবে বলেও, পরবর্তীতে এবার তা দেশের সুরক্ষার কাজে ব্যবহার করা হবে। প্রথমে প্রস্তুত করা হয়েছিল কালী ৮০, তারপর করা হয়েছিল কালী ২০০, এরপর ধীরে ধীরে ভারতের বৈজ্ঞানিক মহল পা বাড়াল কালী ৫০০০ এর দিকে। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণরূপে তৈরি, যা জোর গলায় বলা যায় মেড ইন ইন্ডিয়া।
এই শক্তিশালী অস্ত্রের নির্মাতাই বা কে?
বিএআরসি (ভাব আণবিক গবেষণা কেন্দ্র) এবং ডিআরডিও (প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) উভয় সংস্থাই সম্মিলিতভাবে ‘কালী’ তৈরির সাথে জড়িত রয়েছে।
কালীর ক্ষমতা
ক্ষেপণাস্ত্র হোক বা যুদ্ধবিমান, সবকিছুকেই মহূর্তের মধ্যে শেষ করার ক্ষমতা রাখে এই কালী। স্থল, জল এবং বিমান সব ক্ষেত্রেই সমান পারদর্শী। বিরাট দূরত্বের ব্যবধান থেকেও শত্রু দেশ থেকে আগত পারমাণবিক বোমাকেও রুখে দিতে পারবে এই কালী। এমনকি আটকাতে পারবে আকাশ পথের হামলাকেও।
আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের এই কালীকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। তবে সম্প্রতি এটি ভারতের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
শোনা গিয়েছে, কালী ৫০০০ কোন ক্ষেপণাস্ত্র বা এয়ার ক্র্যাফট ভারতের দিকে ধেয়ে আসলে, তাঁকে নিমেষে ইলেকট্রন কণার স্ত্রোত দিয়ে শেষ করে দিতে সক্ষম। এই তীব্র গতি সম্পন্ন ইলেকট্রন কণার স্রোত যে কোনও ক্ষেপনাস্ত্রকে সহজেই প্রতিহত করতে পারে। প্রথমে এই উত্তপ্ত কণার স্রোত বা রশ্মি তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণে পরিণত হবে এবং তারপর সেই বিকিরণ সরাসরি মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রোওয়েভের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে শত্রুর ছোড়া ক্ষেপনাস্ত্রে প্রবল আঘাত হানবে। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ঝলসে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে কালী।
ভীত রয়েছে চীন পাকিস্তান
গোপনে রাখা ভারতের এই ভয়ঙ্কর অস্ত্রের বিষয়ে জানার পর থেকেই কিছুটা হলেও আতঙ্কে রয়েছে চীন, পাকিস্তানের মত ভারতের উপর হামলাকারী দেশগুলো। তবে ছিন্নমস্তার তেজস্বী রূপের ন্যায় যেমন ভারত হয়ে উঠতে পারে বিধ্বংসী, তেমনই মহামায়ার ন্যায় সহনশীলতাও তাঁর মধ্যে বর্তমান। তাই এবার থেকে ভারতের দিকে হামলা চালানোর আগে একবার হলেও ভাবতে হবে শত্রুপক্ষের দেশগুলোকে।