বাংলা হান্ট ডেস্ক : বর্ষশেষে ফের একবার অ্যাকশন মোডে ইডি (Enforcement Directorate)। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মোট ১০টি জায়গায় চলেছে ম্যারাথন তল্লাশি। পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য রোজ সামনে আনছেন তদন্তকারীরা। শাসকদলের বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতার পাশাপাশি এবার ইডির নজর রাজ্যের রিয়েল এস্টেট সংস্থাগুলির ওপর। তদন্তকারীদের দাবি, দুর্নীতির বিপুল অঙ্কের কালো টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এইসব সংস্থাতেই।
আর এই আর্থিক নয়ছয়ের তল খুঁজতেই গতকাল শহরের একটি নামি রিয়েল এস্টেট সংস্থা মার্লিন গ্রুপের (Merlin Group) চেয়ারম্যানের বাড়িতে পৌঁছায় ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের দল। বলা হচ্ছে, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra) টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এই সংস্থায়। মার্লিন গ্রুপের সাথে বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কোম্পানি এসডি কন্সালটেন্সির। যার বেশকিছু তথ্য প্রমাণও মিলেছে বলেছে খবর।
সূত্রের খবর, গতকাল ইডির ম্যারাথন তল্লাশিতে সুশীল মোহতার বাড়ি থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে। তারপর থেকেই প্রশ্ন, শীঘ্রই কি তবে ফের একবার ইডির নোটিশ পেতে চলেছেন মার্লিন কর্তা সুশীল মোহতা? সেই সাথে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে তার কোম্পনির কি সম্পর্ক ছিল তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে খবর। শোনা যাচ্ছে , পূর্বে বাজেয়াপ্ত করা নথিপত্রকেও নাকি ফের একবার ঘেঁটে দেখছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন : মাথায় হাত কংগ্রেসের! লোকসভায় ৪০০-র বেশি আসন পাবে বিজেপি, দাবি রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়। পূর্বেও একাধিকবার সমন পাঠানো হয়েছিল সুশীল মোহতার বাড়িতে। অভিযোগ, ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল এই মার্লিন গ্রুপের। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কোম্পানি এসডি কন্সালটেন্সির দফতরে যাতায়াতও ছিল মার্লিন গ্রুপের কর্মকর্তারদের। এমনকি সংস্থার চেয়ারম্যান খোদ সুশীল মোহতাও নাকি আসতেন সেখানে।
আরও পড়ুন : ‘কালীঘাটের কাকু’র সাথে যোগসাজশই হল কাল? সুশীল মোহতার বাড়ি থেকে মিলল গুরুত্বপূর্ণ নথি
আর তাই চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত নথী এবং ডিজিটাল প্রমাণ ঘেঁটে নিয়োগ দুর্নীতির বাকি টাকার হদিশ খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সাথে প্রশ্ন উঠছে, কেবল কালীঘাটের কাকুর সাথে যোগসাজশই সুশীল মোহতার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল নাকি তিনিও যুক্ত রয়েছেন এই কালো টাকার দুর্নীতিতে। কালো টাকা সাদা করার কারিগরি কি তবে তিনিই? কালকের দিনভর তল্লাশির পর কোন তথ্য উঠে এল ইডি-র হাতে? প্রশ্ন এক নয় একাধিক, তবে উত্তর এখন কেবল ইডির হাতেই।