বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুজো আসছে। বাংলা সেজে উঠছে উমার আগমনির আনন্দে। কাশবন আর আকাশে সাদা মেঘের ভেলা শারদীয়ার জন্যই যেন মেলে ধরছে নিজেদের। সেজে উঠছে তিলোত্তমা। আলোর রোশনাই তে রঙিন কলকাতা। কিন্তু শুধুই কী কলকাতা? পুজো তো আসে সবখানেই। কলকাতা থেকে দূরে বাংলার ঠিক অপর কোণে, কালিম্পং। যেখানে ভোরের সূর্যের প্রথম আলোয় সোনার মতন উজ্বল হয়ে উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডাক দিয়ে যায়, যেখানে পাহাড়ি পরিবেশের সাথে পুজোর মন্ত্র, মায়ের মুখ এবং ধুনুচি নাচের ছন্দ , অষ্টমীর অঞ্জলী, নবমীর ভোগ মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় এই কটি দিনে। প্রতিবারই দুর্গাপুজোয় মাতে এখানকার মানুষরাও। সে নাই বা হলো তিলোত্তমার মতন মেজাজ, কিন্তু পাহাড়ের কোলে উমার মণ্ডপ, তা তো পুজো এবং ভ্রমণ উভয় প্রিয় বাঙালির মন কে তৃপ্ত করার জন্য যথেষ্ট। প্রতিবারই কম বেশি তিরিশ টা পুজো হয় কালিম্পং শহরে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
এমনই একটা পুজো মিলনি ক্লাবের পুজো। ১৯২৯ সাল থেকে এই পুজো করে আসছে এই ক্লাবের সদস্য রা। এই পুজো কমিটির সাধারন সম্পাদক মনজিত দাস জানালেন, প্রতিবারের মতনই এ বারও তাদের পুজো শুরু হবে চতুর্থী থেকে। আর শুধু তাই নয়, দশমীর দিন পুজো শেষ হওয়ার পরও আয়োজিত হয় এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যাতে সকল ধর্মের মানুষ সমান ভাবে অংশগ্রণ করতে পারে এবং সকলের পৃষ্ঠপষকতা হয়। পুজোর ছুটিতে ভ্রমণ প্রিয় বাঙালি কালিম্পং এ ঘুরতে গেলে সামিল হতেই পারেন এই পুজোতে।