বাংলা হান্ট ডেস্কঃ SLST মামলায় অভিযোগ তোলা হয়েছিল তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) আদালতের সামনে তুললেন ২০০৩ সালের সেই বিখ্যাত ‘লালা বাংলা ছেড়ে পালা’ স্লোগানের প্রসঙ্গ। তাঁর দাবি, এক্ষেত্রে আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করেছে যা বিধিবিরুদ্ধ।
কল্যাণ (Kalyan Banerjee) বলেন, রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে অ্যাডভোকেট জেনারেলের (AG’s consent) অনুমতি প্রয়োজন। সেই অনুমতি ছাড়াই কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা গৃহীত হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “রাজ্যের একজন মুখপাত্রের বিরুদ্ধে কীভাবে এজি মামলা চালানোর অনুমতি দেবেন?” বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যও পাল্টা বলেন, “তাহলে কি এটি পক্ষপাতদুষ্ট নয়?”
বিচারপতিরাও কি রাজনৈতিক পক্ষপাত করে?
কল্যাণের (Kalyan Banerjee) আরও যুক্তি, “রাজ্যের বিচারপতিরাও কোনও না কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাস করেন। তাহলে তাঁদের বিচারও কি পক্ষপাতহীন থাকে?” তাঁর দাবি, এই যুক্তিতে এজি’র নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায় না। তিনি আদালতকে বলেন, “এজি কি আইন লঙ্ঘন করেছেন?” এই বিতর্কে উপস্থিত বিচারপতিরাও বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন এবং পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়।
শুনানিতে আদালতে তোলা হয় সেই ঘটনার দিনের video ক্লিপিং। কল্যাণ (Kalyan Banerjee) দাবি করেন, “বিচার অবমাননার অভিযোগে যে ভিডিও পেশ করা হয়েছে, তাতে কোনও অশালীন বক্তব্য প্রমাণ হয় না। বরং সেখানে অভিজ্ঞ আইনজীবীদের যুক্তি দেখানো হয়েছে।” অর্থাৎ, কুণাল ঘোষ একজন রাজনৈতিক মুখ হলেও তাঁর বক্তব্য আদালত অবমাননার মতো ছিল না—এটাই ছিল মূল সওয়াল।
আরও পড়ুনঃ বয়সসীমা নিয়ে বিভ্রান্তি, SSC-র নতুন বিজ্ঞপ্তিতে চ্যালেঞ্জ! এবার ডিভিশন বেঞ্চে চাকরিহারারা
১৭ জুলাই ফের শুনানি, জরিমানা কত?
বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় শুনানি শেষে জানতে চান, আদালত অবমাননায় ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ কত? জবাবে কল্যাণ (Kalyan Banerjee) বলেন, “মাত্র দু’হাজার টাকা।” যদিও মামলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ১৭ জুলাইয়ের শুনানির ওপর। রাজনৈতিক মহলে এখন নজর, কুণালের কণ্ঠে কি অবমাননা ছিল, নাকি এটি একপ্রকার রাজনৈতিক বাগ্মিতা?