বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওয়াকফ বিল সম্বন্ধিত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক। সেখানে আচমকাই পরিস্থিতি তেতে ওঠে। বোতল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) বিরুদ্ধে। হাত কেটে রক্তারক্তি কাণ্ড হয় সেখানে। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন এই সাংসদ-আইনজীবী নিজে। ফালাফালা আক্রমণ করলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
অভিজিতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কল্যাণের (Kalyan Banerjee)!
মঙ্গলবার ডানকুনির কালীপুর চৌমাথা অধিবাসীবৃন্দের শ্যামাপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। সেখানেই বোতল ছোড়ার ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন কল্যাণ। বলেন, সেদিন কংগ্রসের এক সাংসদের সঙ্গে অভিজিতের (Abhijit Gangopadhyay) বাকবিতণ্ডা হচ্ছিল। সেই সময় কল্যাণ জিজ্ঞেস করেন, এত চিৎকার কেন করছেন? তাতেই বিজেপি সাংসদ মেজাজ হারান বলে অভিযোগ।
কল্যাণের (Kalyan Banerjee) কথায়, ‘প্রশ্ন করতেই আমার বাবা, মা, স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রতিবাদ করলে মারতে উদ্যত হন। তোকে মারব, তোকে মারব বলতে থাকেন। একজন বিচারপতির কী মুখের ভাষা! সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন না। আমার হাতে জলের বোতল ছিল। আমি টেবিলে ঠোকার পর সেটা ভেঙে আমার হাত কেটে যায়। আমার বিরুদ্ধে বোতল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। আমি বোতল ছুরিনি। আমার নিশানা পারফেক্ট হয়’।
আরও পড়ুনঃ জয়েনিংয়ের আগেই জোর ধাক্কা! হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল! কপাল পুড়ল কাদের?
‘বোতল-বিতর্কে’ এর আগে অভিজিৎ অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দিকে বোতল ছুড়ে মারেন কল্যাণ। এদিন সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ। পাল্টা অভিজিৎ তেড়ে এসেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে অভিজিৎ কীভাবে বিচারপতি হয়েছে সেই ‘কাহিনী’ও সর্বসমক্ষে তুলে ধরেন।
কল্যাণ (Kalyan Banerjee) বলেন, ‘ওনার দুই বন্ধু একসময় হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। তাই উনিও বিচারপতি হয়েছিলেন। এখনও আমি চ্যালেঞ্জ করছি। ৩০ মিনিট উনি সুপ্রিম কোর্টে এসে কোনও একটা বিষয়ে তর্কবিতর্ক করুক। আমিও দেখতে চাই। উনি ৬০,০০০ লোকের চাকরি খেয়েছিলেন। আমি এই ৬০,০০০ চাকরি শীর্ষ আদালত থেকে বাঁচিয়ে এনেছি। ওনার আমার ওপর খুব রাগ। কিছুই তো জানেন না …। এমনকি অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে যাতা বলে অপমান করেছিলেন। পরে আবার ক্ষমা চেয়ে নেন’।