বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেছে গোটা রাজ্যে। এই কার্ডের আওতায় থাকা বহু বঙ্গবাসী বর্তমানে সুলভ চিকিৎসার সুবিধা পেয়ে চলেছেন। তবে সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এলো এই প্রকল্পের অন্ধকার দিকটিও। জানা গিয়েছে, বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের প্রায় দেড় কোটি টাকা পাওনা রয়ে গিয়েছে। এহেন অভিযোগ উঠে এসেছে খোদ কল্যাণী গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে যা রাজ্যের একমাত্র হার্ট হাসপাতালও বটে। ফলে স্বভাবতই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ঘনিয়েছে রাজ্যের মাথায়।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ কল্যাণীর এই হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসা করাতে আসেন। হার্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে এই হাসপাতালের ওপর ভরসা করে থাকেন শহর থেকে গ্রামের একাধিক মানুষ আর সেখানেই কিনা বর্তমানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর আওতায় থাকা প্রায় দেড় কোটি টাকা পাওনা পড়ে রয়েছে! স্বভাবতই, এই আর্থিক অনটনের ফলে একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হয়ে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তাদের দাবি, “বর্তমানে স্বাস্থ্য সাথীর প্রায় দেড় কোটি টাকা পাওনা পড়ে রয়েছে আর সেই কারণে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের। অনেক জীবনদায়ী ওষুধ এবং একাধিক মেডিকেল সামগ্রী ক্রয় করার পিছনে যেমন বহু টাকা বাকি রয়ে গিয়েছে, ঠিক সেরকম ভাবেই যে সকল ভেন্ডার ওষুধ সরবরাহ করে থাকে, তাদেরকেও টাকা দেওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে কিভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়, তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
প্রসঙ্গত, কল্যাণী মেমোরিয়াল হাসপাতালে পরিষেবা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এহেন আশঙ্কা উঠে এসেছে। কিছু পরিষেবা বর্তমানে চালু করা গেলেও ওষুধের যোগান না থাকায় রোগীর পরিবারদের তা অন্য স্থান থেকে গিয়েই কিনতে হচ্ছে। ফলে পরিষেবা না মেলায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে এলাকার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পাওনা টাকা কবে এসে মেলে, সেদিকেই তাকিয়ে কর্তৃপক্ষ।