বাংলা হান্ট ডেস্ক : ১৪ মাস জেলে থাকার পর বুধবার সকালেই পেয়েছিলেন শর্ত সাপেক্ষ জামিন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ঠিকঠাক নিতে না নিতেই রাতে আবারও অন্য এক মামলায় ‘গ্রেফতার’ হলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly)। ফলে জামিনের আনন্দ এখন কার্যত বিশ বাঁও জলে। বুধবার রাতেই নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ফের গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
বুধবার সকালেই পেয়েছিলেন জামিন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগের মামলায় কল্যাণময়কে গ্রেফতার করেছিল CBI। টানা ১৪ মাসে জেলে ছিলেন তিনি। তবে বুধবার সকালে কলকাতা হাইকোর্ট কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেয়। যদিও শর্ত রাখা হয়, তিনি তদন্তে সবরকমভাবে সাহায্য করবেন এবং কলকাতার বাইরে যেতে পারবেননা। যেতে পারবেননা বিধাননগর কমিশনারেট এবং পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায়।
এইদিন জমা দিতে বলা হয় কল্যাণময়ের পাসপোর্টটিকেও। এসবের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠে যায় সিবিআইয়ের কার্যপদ্ধতির উপরেও। দীর্ঘ ১৪ মাস তদন্তের পরেও সিবিআই কেন কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি? প্রশ্ন বিচারপতির। এছাড়া হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, কল্যাণময় একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি। সমাজে যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। তাই জামিনে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। এমনকি যে পদ ব্যবহার করে তিনি দুর্নীতি করেছেন এখন সেই পদেও তিনি নেই।
আরও পড়ুন : ‘DA বাধ্যতামূলক নয়, সরকার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ তো করে দিয়েছে’, সরকারি কর্মচারীদের কড়া বার্তা মমতার
রাতেই আবার গ্রেফতার হলেন অন্য একটি মামলায়
সেই খুশির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নবম-দশম মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। যদিও এই ক্ষেত্রেও উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ থেকে প্রায় ১১ মাস আগেই নবম দশম মামলার চার্জশিট জমা করেছিল সিবিআই। সেক্ষেত্রে এতদিন পর কেন গ্রেফতারির পরোয়ানা? প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক এবং কল্যাণময়ের আইনজীবী।
আরও পড়ুন : মধ্যবিত্তের জন্য বড় সুখবর, রান্নার তেলের দামে বাম্পার পতন! নয়া রেট দেখে স্বস্তি মধ্যবিত্তের হেঁশেলে
এই প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত প্রায় শেষের দিকে। তাই এমন চূড়ান্ত মুহুর্তে কোনও অভিযুক্ত জেলের বাইরে থাকুক সেটা কোনোভাবেই চাইছেন না তারা। অফিসাররা জানাচ্ছেন, এতে করে তদন্তে বাধা আসবে এবং তদন্তের ক্ষতি হবে। উল্লেখ্য, নবম-দশম মামলায় কল্যাণময়ের পাশাপাশি আরও দুটো নাম রয়েছে তালিকায়। আর তারা হলেন, অশোক সাহা এবং সুব্রত সামন্ত রায়।