বাংলাহান্ট ডেস্ক: কয়েক সপ্তাহ আগেই অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat) ও শিবসেনার (shivsena) মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। অভিনেত্রীর পালি হিলসের অফিস বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে তার একাংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিএমসি (BMC)। এরপরেই দুপক্ষের সংঘাত চরমে ওঠে।
বম্বে হাই কোর্টে বিএমসির এই কাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন কঙ্গনা। আজ ছিল তার শুনানির তারিখ। শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের থেকে এদিন আদালত জবাব চায়, ‘হারামখোর’ কথাটি কার উদ্দেশে বলেছিলেন তিনি। সঞ্জয় রাউতের এই কথা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছিল।
আদালতের তরফে কঙ্গনার আইনজীবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএমসির কর্মকাণ্ডের কাগজপত্র ও সঞ্জয় রাউতের বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ জমা দিতে। উপরন্তু ৫ সেপ্টেম্বর কঙ্গনার যে টুইটের জন্য এতসব কাণ্ড বলে অভিনেত্রীর দাবি, সেই টুইটের কপিও আদালতের সামনে রাখার কথা বলেন অভিনেত্রীর আইনজীবী।
এদিন আদালতে কঙ্গনার আইনজীবী সঞ্জয় রাউতের একটি বক্তব্যের অডিও ক্লিপ পেশ করেন। সেখানে তাঁকে ‘হারামখোর’ শব্দটি বলতে শোনা যায়। পালটা শিবসেনা নেতার আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল কারোর নাম উচ্চারণ করেননি।
কঙ্গনার আইনজীবী আরো বলেন, এতে তাঁর মক্কেলের দু কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৯ সেপ্টেম্বর কঙ্গনার মুম্বই পৌঁছানোর আগেই বিএমসির তরফে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর অফিস। পালটা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে কঙ্গনা সরাসরি তীর ছোঁড়েন উদ্ধব ঠাকরের দিকে। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, “আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহংকার ভাঙবে”।
নেটদুনিয়া তথা রাজনৈতিক তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে কঙ্গনার এই ভিডিও নিয়ে। এরপরেই ঠাকরেকে অপমানজনক মন্তব্যের জন্য এফআইআর দায়ের হয়েছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেছেন কঙ্গনা। কখনো নেপোটিজম, কখনো বলিউডের মাদক চক্র নিয়ে সরব হয়েছেন। এমনকি উদ্ধব ঠাকরে পুত্র আদিত্য ঠাকরে ওরফে ‘বেবি পেঙ্গুইন’কে নিয়েও বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা।