বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনয় জগতে তিনি ‘কুইন’। বলিউডে বলা যায় নিজের আলাদা একটি ব্র্যান্ড তৈরি করে নিয়েছেন তিনি। ঠিক ধরেছেন, বলি কুইন কঙ্গনা রানাওয়াতের কথাই বলা হচ্ছে। অভিনয়ে তাঁর প্রতিভা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। কুইন, মণিকর্ণিকা, তনু ওয়েডস মনু, জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া একের পর এক ছবিতে নিজের অভিনয় দক্ষতা তুলে ধরেছেন কঙ্গনা। বলাই বাহুল্য, প্রতিটি ছবিই বক্স অফিসে সফল।
তবে অসাধারন অভিনেত্রী ছাড়াও আরও একটি পরিচয় রয়েছে কঙ্গনার। তিনি ঠোঁটকাটা। সব বিষয়েই নিজের বক্তব্যটা পরিষ্কার করে বলতেই পছন্দ করেন তিনি। অবশ্য এর জন্য তাঁর সমালোচকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। অপরদিকে কঙ্গনাও ছাড়ার পাত্রী নন। উচিত জবাবটা সবসময়ই দিতে জানেন তিনি। এমন বহু অভিনেতা অভিনেত্রী রয়েছেন যারা ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছেন কঙ্গনার ‘ব্যাড বুক’এ। তাঁদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সবার প্রথমেই নাম আসবে হৃতিক রোশনের। একটা সময় এই দুজনের বিরোধ চরমে উঠেছিল। প্রায়দিনই শিরোনামে থাকত হৃতিক ও কঙ্গনার বিরোধের সংবাদ। কঙ্গনা বারংবার দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন অভিনেতা। কিন্তু কোনওদিনই সর্বসমক্ষে তা দাবি করেননি।
অভিনেত্রীর অভিযোগ ছিল, ‘কৃষ টু’ এর শুটিং চলাকালীনই তাঁর প্রেমে পড়েন হৃতিক। কিন্তু তা কোনওদিনই সবার সামনে স্বীকার করার সাহস ছিল না তাঁর। তিনি এও জানান, স্ত্রী সুজানকে ছেড়ে কোনওদিনই কঙ্গনার কাছে আসতে পারবেন না তিনি। এরপর কঙ্গনা তাঁকে বলেন, সুজানকে বিচ্ছেদ দিতে না পারলে তাঁকে মুক্তি দিন হৃতিক। কিন্তু তাতেও রাজি ছিলেন না অভিনেতা।
কঙ্গনা আরও দাবি করেন সুজানের সঙ্গে আচমকাই সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ফের কঙ্গনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন হৃতিক। উপরন্তু তিনি আর ও হুমকি দেন তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁর সঙ্গে কাটানো কঙ্গনার সব গোপন মুহূর্তের ছবি ফাঁস করে দেবেন। তবে এই সব অভিযোগই অস্বীকার করেন হৃতিক।