বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে যেসব তারকারা কঙ্গনা রানাওয়াতের (Kangana Ranaut) ব্যাড বুকে রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম আলিয়া ভাট (Alia Bhatt) ও করন জোহর (Karan Johar)। ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজমের প্রচার করার অভিযোগে বারংবার বিদ্ধ করেছেন দুই তারকাকে। ইতিমধ্যেই আলিয়ার নতুন ছবি ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাদি’র বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন ‘পাঙ্গা’ অভিনেত্রী। এবার ফের তাঁর নিশানা আলিয়া করনের দিকে।
নিজের ইনস্টা স্টোরিতে কঙ্গনা নাম না করে লেখেন, ‘আগামী শুক্রবার ২০০ কোটি টাকা বক্স অফিসে পুড়ে ছাই হবে, একজন পাপা (মুভি মাফিয়া ড্যাডি) কী পরীর (যে ব্রিটিশ পাসপোর্ট রাখতে ভালবাসে) জন্য। কারণ পাপা প্রমাণ করতে চায় যে রমকম করেও অভিনয় করা যায়। ছবিটার সবথেকে খারাপ দিকই হল কাস্টিং। এরা শুধরাবে না। দক্ষিণী ছবি ও হলিউডি ছবির দর্শক বাড়ছে এই কারণেই। যতদিন মুভি মাফিয়াদের হাতে ক্ষমতা রয়েছে ততদিন বলিউডের ভাগ্যে শনি নাচছে।’
দ্বিতীয় স্টোরিতে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘বলিউডের মাফিয়া ড্যাডি পাপা জো যিনি একা হাতেই ইন্ডাস্ট্রির কাজকর্ম নষ্ট করে দিয়েছেন। অনেক বড় পরিচালকদের আবেগ দিয়ে হাত করেছেন, আর নিজের নিম্নমানের কাজ তাদের উচ্চমানের চিন্তা ভাবনায় চাপিয়ে দিয়েছেন। এই ছবিটি মুক্তির পর আরো একটা উদাহরণ বাড়বে। ওঁকে তোল্লাই দেওয়া বন্ধ করা উচিত। এই শুক্রবারের রিলিজে একজন বড় নায়ক এবং বিখ্যাত পরিচালককেও হাত করেছেন উনি।’
এর আগে একটি ছোট্ট মেয়ে কিয়ারা খান্না গাঙ্গুবাঈ ওরফে আলিয়ার মতো সেজে ভিডিও বানায়। সেই ভিডিও নিয়েই আপত্তি তুলেছিলেন কঙ্গনা। ভিডিওটির লিঙ্ক নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেন তিনি। আলিয়াকে তীব্র কটাক্ষ শানিয়ে কঙ্গনা লেখেন, ‘সরকারের উচিত সেই সব অভিভাবকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যারা টাকার লোভে নিজেদের নাবালক সন্তানদের অশ্লীলতা শেখাচ্ছেন।
তাও আবার এমন এক বারবণিতার বায়োপিকের প্রচার করার জন্য যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে নারীর যোগান দিয়ে ক্ষমতা পায়। নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে বিষয়টা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’