বাংলাহান্ট ডেস্ক: সবে সবে মুক্তি পেয়েছে দীপিকা পাডুকোন (Deepika Padukone), অনন্যা পাণ্ডে, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী ও ধৈর্য কারওয়া অভিনীত ‘গহরাইয়া’ (Gehraiyaan) । ১২ ফেব্রুয়ারি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে সম্প্রচার শুরু হয়েছে এই বহু প্রতীক্ষিত ছবির। ইতিমধ্যেই বহু প্রতিক্রিয়া মিলেছে দর্শকদের তরফে, যা খুব একটি আশাব্যঞ্জক নয়। বিশেষ করে কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut) ছবিটিকে ‘পর্নোগ্রাফি’ বলে কটাক্ষ শানিয়েছেন।
নিজের ইনস্টা স্টোরিতে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘আমিও তরুণ প্রজন্মের একজন মানুষ কিন্তু আমি এই ধরনের রোম্যান্স বুঝতে পারি। নতুন প্রজন্মের ছবির নামে দয়া করে আবর্জনা বিক্রি করবেন না। খারাপ ছবিগুলো খারাপই। যত খুশিই শরীর বা পর্নোগ্রাফি দেখানো হোক না কেন, তা বাঁচানো যাবে না। এটা একটা সাধারন সত্য, কোনো ‘গহরাইয়া’র ব্যাপার নেই।’
অবশ্য কঙ্গনা একা নন। স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক কামাল আর খানও দীপিকার ছবিকে রীতিমতো অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেছেন। গহরাইয়াকে ‘সফট পর্ন’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রযোজক করন জোহর ও দীপিকাকে যথাক্রমে ‘যৌনতার দেবতা’ ও ‘যৌনতার রানী’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন কেআরকে। তাঁর আরো অভিযোগ, সবাই ইংরেজিতেই সংলাপ বলেছে। তাহলে ‘কপিউড’এ ছবি না বানিয়ে হলিউডেই বানাতে পারতেন শকুন বাত্রা।
জানিয়ে রাখি, দর্শকদের তরফে এখনো পর্যন্ত মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে ছবিটি সম্পর্কে। অনেকেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন দীপিকার এটাই সেরা পারফরম্যান্স। তাঁর অভিনয়ের আগে বাকিরা ফিকে হয়ে গিয়েছেন। সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেছেন অনেকে।
কিন্তু মূল গণ্ডগোলটা হয়েছে ছবির গল্পে। অনেকেরই অভিযোগ, ছবিতে গল্প কম আর যৌনতার পরিমাণ বেশি। ছবিটি অনুভূতির গভীরতায় ঢুকতে পারেনি। বরং একটা অবসাদ ঘিরে রয়েছে ছবির পরতে পরতে। সব মিলিয়ে গহরাইয়া মনের ‘গহরাইয়া’তে ঢুকতে পারেনি বলেই দাবি করেছেন দর্শকদের অধিকাংশ।