বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটকে ঘটে যাওয়া হিজাব বিতর্ক বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে এক গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। বিগত মাস থেকে শুরু হওয়া এই বিতর্কের ফলে স্কুল থেকে কলেজ এবং হাইকোর্ট থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র সর্বত্রই বিতর্ক ছড়িয়েছে। এর মধ্যে কর্ণাটক সরকারের ঘোষিত একটি রায় এ সেই বিতর্ক যে আরো বাড়িয়ে দেবে তা অনস্বীকার্য। কি এমন বলেছে কর্ণাটক সরকার?
বিগত মাসের কর্ণাটকের একটি কলেজে 6 থেকে 7 জন ছাত্রী হিজাব পড়ে কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে এবং সেই সময় তাদেরকে কলেজে ঢুকতে বারণ করা হয়। তাদের বাড়ি চলে যাওয়ার কথা বলে কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, ধর্মীয় পোশাক পড়ে কোনো পড়ুয়ারই কলেজ এ ঢোকার অনুমতি নেই । তৎক্ষণাৎ, সেই সকল ছাত্রীরা জানায় যে, তারা তাদের ধর্মীয় পোশাক ছাড়া কলেজে ঢুকবে না এবং তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্কে সৃষ্টি হয়ে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ, বিজেপি ও বাকি দলগুলির মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে এবং শেষে তা গিয়ে পৌঁছায় হাইকোর্টে।
হাইকোর্টে এটি বেশ কিছুদিন চলার পর শেষে তারা জানায়, ধর্মীয় পোশাক পড়ে কলেজে ঢোকার অনুমতি পাবে না কোনো স্টুডেন্ট অর্থাৎ এতে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং বিজেপি সরকারের জয় হয় বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। এই রায়ের মধ্যবর্তী সময় যেসকল ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় বসতে রাজি হয়নি তাদের কথা ভেবে দেখছে কর্নাটকের সরকার বলে জানা গেছে। যেহেতু তারা রায়ের মধ্যবর্তী সময়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়, ফলে তাদের পরীক্ষার বসতে দেওয়া হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কিন্তু এই রায়ের পরবর্তী সময়েও যারা হিজাব বিতর্ক টেনে নিয়ে যেতে চায় এবং পরীক্ষা বয়কট করে চলেছে তাদের আর কোন সুযোগ দেওয়া হবে না বলে কড়া ভাষায় জানিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, এরপর বিতর্কের সঙ্গে জড়িত থাকায সেই সকল ছাত্রীরা হতাশা প্রকাশ করেছে এবং যেকোনো অবস্থায় পরীক্ষায় বসবে না এবং দরকার হলে অন্য কলেজে ভর্তিও হতে পারে সে বিষয়ে জানিয়েছে তারা এবং তাদের অভিভাবকগণ।