বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিজেপি (BJP) নেতা রঞ্জিত শ্রীনিবাসনকে (Ranjit Srinivasan) খুনের কড়া পদক্ষেপ নিল কেরালা আদালত (Kerala High Court)। নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই-র মোট ১৫জন সদস্যকে একসঙ্গে ফাঁসির সাজা শোনালো হাইকোর্ট। গত সোমবার এই সাজার কথা শুনিয়েছে কেরলের আলাপুঝার একটি আদালত। জানানো হয়েছে একযোগে এই ১৫ জনকে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাড়ি ফেরার পথে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা কে এস শান। মর্মান্তিক এই ঘটনার জেরে বেশ ভালোরকম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কেরলের রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দুষ্কৃতিরা হামলা চালায় রঞ্জিতের বাড়িতে।
তদন্ত শুরু হলে উঠে আসে নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই ও এসডিপিআইয়ের নাম। বিভিন্ন মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, কেরল বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা আরএসএস নেতার বাড়িতে হামলা করে পিএফআই-র সদসরা। তার মা, শিশু ও স্ত্রীর চোখের সামনেই কুপিয়ে খুন করে রঞ্জিতকে। সেই সাথে হেনস্থা করা হয় তার পরিবারের সদস্যদেরও।
ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই মোট ১৫ জন দুস্কৃতিকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। মামলা আদালতে উঠলে অভিযুক্ত ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কেরলের মাভেলিকারার অ্যাডিশনাল সেশনস কোর্ট। তবে সেই সাজায় সন্তুষ্ট ছিলনা সরকার পক্ষের আইনজীবী। তিনি সর্বোচ্চ সাজার আবেদন করে বলেন, এই ১৫ জন যা করেছে তা কোনও মানুষ করতে পারেনা।
আরও পড়ুন : আকাশি জামা-নীল প্যান্ট থেকে খাকি উর্দি! সিভিক ভলান্টিয়ারদের ইউনিফর্ম বদল নিয়ে জল্পনা
সরকার পক্ষের আইনজীবী দাবি তোলেন, মা, স্ত্রী ও শিশুসন্তানের সামনে যেভাবে রঞ্জিতকে খুন করা হয়েছিল তা আর পাঁচটা সাধারণ খুনের ঘটনার চেয়ে আলাদা। এই পেশাদার খুনিরা ভবিষ্যতেও এমন কাজ ঘটাবেন। তাই এমন মানুষরূপী অমানুষদের সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত। এরপরেই মঙ্গলবার প্রাণদণ্ডের আদেশ দেল কেরলের আদালত।
আরও পড়ুন : ED-র ভয়ে পলাতক হেমন্ত সোরেন? মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত বিদেশী বিলাসবহুল গাড়ি, গুরুত্বপূর্ণ নথি
গত ২০ জানুয়ারি ১৫ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে কেরলের মাভেলিকারার অ্যাডিশনাল সেশনস কোর্ট। তার পরেই দোষীদের জন্য সর্বোচ্চ সাজার আবেদন করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। তাঁর মতে, এই ১৫ জন আসলে পেশাদার খুনি। যেভাবে রঞ্জিতকে তাঁর পরিবারের সামনে খুন করা হয়েছিল, সেটা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের সমান। সেই দাবি মেনেই মঙ্গলবার প্রাণদণ্ডের আদেশ দিল কেরলের আদালত।