ইউরোপ ট্যুরের শখ, লকডাউনে বাড়িতে বসে নিজেই আস্ত একটা প্লেন বানিয়ে ফেলেন কেরলের যুবক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনেকদিন ধরেই প্ল্যান করছিলেন পুরো ইউরোপ ট্যুর করবেন। কিন্তু, সাম্প্রতিককালের কোভিড পরিস্থিতির জন্যই পিছিয়ে আসতে হচ্ছিল বারবার। তবে, শত বাধা বিপত্তিকে পিছনে ফেলে ইউরোপের নানান শহর ঘুরে বেড়ানোর বন্দোবস্ত এবার করেই ফেললেন তিনি। কিন্তু, এ তো আর যেমন-তেমন ব্যবস্থা নয়, ভ্রমণের শখ মেটাতে তৈরী করে ফেললেন একটা আস্ত প্লেন। কী, অবাক লাগছে? অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন ইতিহাস সৃষ্টিকারী নির্দশন তৈরী করে ফেলেছেন অশোক আলিসেরিল থামারক্ষণ।

জানা গিয়েছে, কেরলের আলাপুঝার বাসিন্দা অশোক পেশায় একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে স্ত্রী অভিলাশাকে নিয়ে তিনি লন্ডনেই থাকেন। নিজের হাতে বিমান বানানোর স্বপ্ন পূরণ হতেই স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে ইউকে এবং ইউরোপের নানান প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিমানটি তৈরি করতে তাকে ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে খরচ করতে হয়েছে আনুমানিক ১.৮ কোটি টাকা। তবে, করোনা মহামারির সময় লকডাউন জারি হওয়ার ফলে প্রায় ১৮ মাস ধরে তিনি কাজটি করতে পেরেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চার আসন বিশিষ্ট বিমানটি তৈরির কাজ শেষ হযেছিল। ছোট মেয়ে দিয়ার নামানুসারে অশোক বিমানটির নাম রেখেছেন ‘জি-দিয়া’।

তাঁর স্ত্রী অভিলাশার কথায়, “বরাবরই আমরা চাইতাম যে নিজেদের একটা প্লেন হোক। লকডাউনের প্রথম কয়েক মাসে আমরা প্রচুর অর্থ সঞ্চয় করতে পেরেছিলাম। তাই, এই কাজে এগোতে ভরসা পেয়েছিলাম।” অন্যদিকে অশোক জানাচ্ছেন, “২০১৮ সালে আমি পাইলট লাইসেন্স পেয়েছিলাম। প্রথম দিকে, আমি ভ্রমণের জন্য ছোট দুই-সিটের বিমান ভাড়া করতাম। কিন্তু পরিবার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই আসনের বিমানে আর কাজ হচ্ছিল না। বুঝেছিলাম, পরিবারকে নিয়ে ভ্রমণে যেতে গেলে একটা চার আসনের বিমান প্রয়োজন। কিন্তু এই ধরনের বিমান খুবই বিরল। তাই, নিজেই একটি এই ধরনের বিমান তৈরি কথা মাথায় আসে।”

বহু পরিকল্পনার ফসল এই বিমানটি। এই বিমানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অশোক, অভিলাশার আবেগ। অশোকের এই সৃষ্টি তৈরি করেছে এক নতুন ইতিহাস। তাই, আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে সকলের গ্যারাজে যখন নামি-দামি গাড়ি, অশোক থামারক্ষনের গ্যারাজে জ্বলজ্বল করে একটি চার আসনের বিমান!

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর