বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: মানুষ কিভাবে জীবনে বড় কিছু করবেন সেটা তার নিজের ওপর নির্ভর করে। কেউ উচ্চশিক্ষার পর বিদেশে পাড়ি জমান। কেউ আবার দেশের মাটিতে থেকেই বড় কিছু করার চেষ্টা করেন। আবার কেউ বিদেশে পাড়ি দিয়েও দেশের টানে আবার ফিরে আসেন নিজের চিরপরিচিত আশ্রয়ে এবং সেখানে ফিরেই বড় কিছু করে দেখান। ঠিক এমনটাই ঘটেছে আইআইটি প্রাক্তন ছাত্র কিশোর ইন্দুকুরির সঙ্গে। তিনি উচ্চশিক্ষার পর আমেরিকায় উচ্চ বেতনের চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিশাল আয় সত্ত্বেও বিদেশের মাটিতে গিয়ে শান্তি পাননি।
এরপরে তিনি ফিরে আসেন ভারতে। হায়দরাবাদে “সিডস ফার্ম” নামে একটি দুগ্ধ খামার শুরু করেন। কারণ তিনি লক্ষ্য করেছিলেন সেখানকার মানুষ সবসময় ভালো দুধের খোঁজ করছে। তাই ইন্টেলের মতো নামি কোম্পানির চাকরি ছেড়ে, কিশোর একটি দুগ্ধ খামার চালু করেন এবং গ্রাহকদের কাছে বিশুদ্ধ তাজা দুধ সরবরাহ শুরু করেন। এভাবেই শুরু হয় তার দুগ্ধ খামার এবং ধীরে ধীরে সিডস ফার্মের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
কিশোর শীঘ্রই বুঝতে পেরেছিলেন যে ভারতে ভাল এবং স্বাস্থ্যকর দুধের বিকল্প কিছু নেই। যদিও তার সাফল্য রাতারাতি আসেনি। ২০১২ সালে তিনি মাত্র ২০ টি গরু নিয়ে এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। প্রথমদিকে তার যথেষ্ট সমস্যা হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে তার পরিশ্রমের ফল দেখাতে শুরু করে। আজ তার নামে নাম রাখা ইন্দুকুড়ি ডেয়ারি ৪৪ কোটি টাকার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। হয়।
কিশোর হায়দরাবাদে ব্যবসা শুরু করলেও তিনি মূলত কর্ণাটকের বাসিন্দা। তিনি আইআইটি খড়গপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর পড়াশোনার জন্য অন্য দেশে যাওয়া উপযুক্ত বলে মনে করেছিলেন তিনি। কিশোর মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পান গোটা বিশ্বে সুপরিচিত কোম্পানি ইন্টেলে।
এরপর তিনি প্রায় ৬ বছর ইন্টেলের চাকরি করেন। ২০১২ সালে, তিনি আমেরিকা থেকে ফিরে এসে তার ডেয়ারি শুরু করেন। আজ প্রতিদিন তার কোম্পানি প্রায় ১০,০০০ গ্রাহকের কাছে দুধ সরবরাহ করছে। শুরু করার মাত্র ছয় বছরের মধ্যেই আকাশছোঁয়া সাফল্য পেয়েছেন কিশোর, যা অনুপ্রাণিত করবে যে কোনও মানুষকে।