সেই দিন রাতের সমস্ত কাহিনী খুলে বলল বগটুই কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী কিশোর কিয়ান শেখ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকালই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে কাকিমা নাজেমা বিবির। তারপর থেকেই আবারও গত সপ্তাহের সেই নারকীয় অগ্নিলীলার স্মৃতি দুঃস্বপ্নের মত তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে কিয়ান শেখকে। বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী এই নাবালক কিশোর। পরিবারকে যারা শেষ করে দিল তাদের ফাঁসির শাস্তিই চায় সে।

সোমবার কড়া পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যই নিয়ে আসা হয় তাকে। সেখানে এসেই কাকিমা নাজেমা বিবির মৃত্যুর খবর পায় কিয়ান। তারপরই সেরাতের এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে এই কিশোর।

সে জানায়, গত সোমবার রাতে সাড়ে নটা নাগাদ হঠাৎই তাদের বাড়ির দিকে বোমা ছোঁড়া হতে থাকে। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। সে কিছু বোঝার আগেই একটক আগুনের গোলা তার গায়ের ডানদিকে এসে লাগে। এরপরই যে কোনও প্রকারে বাড়ি থেকে পালিয়ে বাঁচে কিয়ান।

কিয়ান আরও জানিয়েছে সেই রাতে সে দেখতে পেয়েছিল বেশ কিছু অভিযুক্তকে। দেখে চিনতেও পেরেছিল। তার দাবি সে নিজের চোখে শেখ রস্তান, শেখ মফিজুলকে দেখেছে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগাতে। দলে বেশ ভারী ছিল তারা। এক এক করে আগুন লাগায় ১০-১২ টা বাড়িতে। কিয়ান বলে, ‘কাকিমাকে নিয়ে মোট ৯ জন মারা গেল। এর আগে যারা মারা গেছে তারা আমার ছোটো মা, নতুন মা, দাদি, চাচি, চাচাতো বোন। আমি চাই যারা এই কাজ করেছে তাদের ফাঁসির শাস্তি দিক আদালত।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার বগটুইয়ের পশ্চিম পাড়ার ইদগাহের পাশ থেকে কিয়ানকে উদ্ধার করে দমকল বাহিনী। বেশ ভালোরকম পুড়ে গিয়েছিল তার শরীর। সেই অবস্থাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। গত শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে কিয়ান। সোমবার ছিল আবারও ডাক্তারি পরীক্ষার দিন। তাই কড়া পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তাকে।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর