বাংলাহান্ট ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে ঝড় উঠেছিল দেশের সঙ্গীত জগতে। অমঙ্গলের বার্তার মতোই বয়ে এসেছিল কেকের (KK) মৃত্যু সংবাদ। বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল সঙ্গীত ইন্ডাস্ট্রি। অনেকেই প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি খবরটা। এ যেন অবিশ্বাস্য। কিন্তু নির্মম সত্য মেনে নিতে হয়েছে সকলকেই।
দিল্লিতে জন্ম, কর্মক্ষেত্র এবং বসবাস মুম্বইতে হলেও কেকের বড় পছন্দের শহর ছিল কলকাতা। বাংলা গানও গেয়েছেন তিনি। এই শহরের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেছেন বহুবার। কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে আসার জন্য রওনা দেওয়ার সময়ে বাংলায় বার্তা দিয়েছিলেন, কলকাতা আমি আসছি। আসি বলে চলেই গেলেন চিরতরে।
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে কেকের অনুষ্ঠানটা ছিল অদ্ভূত সমাপতনে ভরা। পরপর ২০ টি গান গেয়েছিলেন তিনি। ইমরান হাশমির লিপে একাধিক সুপারহিট গান গেয়েছেন কেকে। তার মধ্যে থেকে ‘তু হি মেরি শব হ্যায়’, ‘কেয়া মুঝে পেয়ার হ্যায়’ এর মতো আইকনিক গানগুলি গেয়েছিলেন তিনি।
উপস্থিত সমস্ত মহিলা অনুরাগীদের উৎসর্গ করেন শাহরুখ দীপিকার চিরন্তন রোম্যান্টিক গান ‘আঁখো মে তেরি’। তারপরেই বলে ওঠেন, “হায় ইয়ে হি মর যাঁউ!” অনুষ্ঠানের মাঝে মজার ছলে বলা কথাগুলোই বাস্তব হয়ে ধরা দিল কেকের জীবনে। গানের মাধ্যমে নয়, সত্যি সত্যিই অনুরাগীদের কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন কেকে।
অনুষ্ঠানের মঞ্চেই অস্বস্তি জানান দিচ্ছিল তাঁর শরীর। যখন নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঘিরে নজরুল মঞ্চ থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছেন, ততক্ষণে ঘেমে স্নান করে গিয়েছেন। মুখের অবস্থাই জানান দিচ্ছিল তাঁর শরীরের পরিস্থিতি। শো শেষের পর হোটেলে ফিরে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়।
বুধবার মুম্বই থেকে উড়ে আসেন কেকের স্ত্রী সন্তান। এদিন রবীন্দ্র সদনে রাজ্যের তরফে গান স্যালুট দিয়ে শেষ সম্মান জানানো হয় গায়ককে। এদিন সন্ধ্যাবেলাতেই মুম্বই পৌঁছেছে কেকের মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার শেষকৃত্য কেকের।