শান্তিপুরের ঐতিহ্য, বামাকালীর নাচ দেখে অভিভূত শাহরুখের টিম, কেকেআরের পোস্টে ঝড় নেটপাড়ায়

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নদিয়ার শান্তিপুরের ঐতিহ্য মা বামাকালী (Bama Kali)। প্রতি বছর মা বামাকালীকে দর্শন করতে ভিড় উপচে পড়ে এখানে। বিশেষ করে বিসর্জনের আগে বামাকালীর নাচ দেখতে অগুন্তি মানুষের ভিড় জমে মালোপাড়ার কাছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল সে দৃশ্য। আর এবার শাহরুখ খানের কেকেআরও মজল বামাকালীর (Bama Kali) নৃত্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) শেয়ার করা শেয়ার করা পোস্ট ঝড় তুলেছে ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শান্তিপুরে বিখ্যাত মা বামাকালীর (Bama Kali) পুজো

একাধিক খ্যাতনামা কালীপুজো হয় শান্তিপুরে। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য। বামাকালী (Bama Kali) মায়ের পুজো। মায়ের বিগ্রহ এখানে বিশাল, এলোকেশী। ধুমধাম করে পুজোর পর বিশাল শোভাযাত্রা করে নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মাকে। মশাল, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে লাখে লাখে ভক্তরা যোগ দেন ওই শোভাযাত্রায়।

KKR shared bama kali dance video

বামাকালীর নাচ দেখতে জমে ভিড়: বিসর্জনের আগে মালোপাড়ার কাছে প্রতিমার গয়না খুলে রাখা হয়। তখনই ভক্তদের সঙ্গে নেচে ওঠেন মা বামাকালী (Bama Kali) নিজেও। অসংখ্য ভক্তদের মাঝে মায়ের বিশালাকার প্রতিমা কাঁধে তুলে যেভাবে নাচানো হয় তা এক দেখার মতো দৃশ্য বটে। বিগত প্রায় ৫৬ বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা। মা বামাকালীর (Bama Kali) নাচ দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমে শান্তিপুরে, মালোপাড়ায়। সেই ভিডিও এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিল কেকেআর।

আরও পড়ুন : ভাইফোঁটায় লটারি লাভ, ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাজারেরও কম! রূপোলি শষ্যে জমিয়ে ভূরিভোজ

কেকেআরের পোস্ট ভাইরাল: নৃত্যরতা বামাকালীর (Bama Kali) ভিডিও শেয়ার করে কেকেআরের পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘জয় বামাকালী, ঐশ্বরিক পরিবেশ’। জাতপাতধর্মের ঊর্দ্ধে উঠে এই পোস্টে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা। কলকাতার টিমের এই পোস্ট মন ছুঁয়ে গিয়েছে অনেকেরই। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরালও হয়েছে এই পোস্ট।

আরও পড়ুন : বয়স মোটে কয়েক মাস, মায়ের কোলে বসে প্রথমবার কবীরকে ভাইফোঁটা দিল ছোট্ট কাব্য

প্রতি বছর শোভাযাত্রা করে নিরঞ্জন হয় শান্তিপুরের বামাকালীর। আর ভক্তদের সঙ্গে নেচে ওঠেন মা। এর নেপথ্যেও রয়েছে এক চমকপ্রদ কাহিনি। কথিত আছে, মা বামাকালী নাকি স্বপ্নে জানিয়েছিলেন, শান্তিপুরের আরও দুই প্রাচীন মা কালী, দেবী সিদ্ধেশ্বরী এবং দেবী চাঁদুনী তাঁর বন্ধু। নিরঞ্জনের আগে যখন শহর প্রদক্ষিণ করা হয়, তখন দুই বন্ধুর দেখা হতেই আনন্দে নেচে ওঠেন মা বামাকালী।