বাংলা হান্ট ডেস্ক : আয় এবং ব্যয়ের পাশাপাশি আমাদের জীবনে সেভিংসটাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেভিংসের জন্য বেশিরভাগ ভারতীয়ই ভরসা করে ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের উপর। আর দেশের সমস্ত ব্যাংক মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (State Bank Of India) জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। মাঝে মাঝেই গ্রাহকদের জন্য নানা ধরণের অফার নিয়ে আসে এই সংস্থা।
এসবিআই মাঝেমাঝেই এমন অনেক অফার দেয় যা অন্যান্য ব্যাংকের তরফে পাওয়া যায়না। এই যেমন এই সংস্থার পাঁচ ধরনের সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Savings Account) রয়েছে। দেশের বহু মানুষই এই বিষয়ে অবগত নন। তবে এইসব অ্যাকাউন্টে এমন অনেক অফার আছে যা শুনলে আপনি চমকে উঠবেন। আজকের প্রতিবেদনে সেগুলিই আলোচনা করব আপনাদের সাথে।
১) বেসিক সেভিংস অ্যাকাউন্ট : আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টে পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর মানুষরা কেওয়াইসি জমা করে একাউন্ট খুলে নিতে পারেন। যদিও চেকের ব্যবস্থা নেই তবে ডেবিট কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। উল্লেখ্য, এই অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্সের প্রয়োজন হয়না।
আরও পড়ুন : লৌহ কপাট বিতর্কে এবার আসরে কবীর সুমন! চাঁচাছোলা মন্তব্য করে কড়া বার্তা রহমানকে
২) স্মল সেভিংস একাউন্ট : যাদের বৈধ কেওয়াইসি নেই এরকম ১৮ বছরের উর্ধ্বে যে কোন ব্যক্তি এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তবে যেহেতু বৈধ কেওয়াইসি নেই তাই এই ধরণের অ্যাকাউন্টে কিছু বিশেষ সীমাবদ্ধতা থাকে। নূন্যতম ব্যালেন্সের প্রয়োজন হয়না ঠিকই, তবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকাই এই অ্যাকাউন্টে রাখা যাবে।
৩) রেগুলার সেভিংস একাউন্ট : সমস্ত বৈধ নথি অর্থাৎ কেওয়াইসি জমা দিয়ে এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। দেশের বেশিরভাগ মানুষই এই ধরণের সেভিংস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। মিনিমাম ব্যালেন্সের প্রয়োজন এখানেও হয়না।
আরও পড়ুন : হাতিয়ার AI, ভাইপোর গলা নকল করে পিসির দেড় লক্ষ নিয়ে পগারপার! ঘুম উড়ল পরিবারের
৪) সেভিংস অ্যাকাউন্টস ফর মাইনর্স : ১৮ বছরের নিচে অথবা স্কুল পড়ুয়াদের জন্য এই বিশেষ অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতেও রয়েছে বেশ কয়েকটি ভাগ। উদাহরণস্বরূপ,পেহেলা কদম, পেহেলি উড়ান। অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার সর্বোচ্চ সীমা হল, ১০ লক্ষ টাকা। তবে এই অ্যাকাউন্ট থেকে দৈনিক ২০০০ এর বেশি খরচ করা যাবেনা।
৫) সেভিংস প্লাস একাউন্ট : এগুলি ছাড়াও এসবিআই-র এমন একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে যেখানে আপনি নিজের ইচ্ছেমত একটি ব্যালেন্স সেট করতে পারবেন। সেই অ্যামাউন্ট পার করলেই ফিক্সড ডিপোজিটে রূপান্তরিত হবে। এ থেকে সুদও পাবেন এবং ইচ্ছেমত টাকা তুলেও নিতে পারবেন। এই ধরণের সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার সময়সীমা হল এক থেকে পাঁচ বছর।