বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক মাসে রাজ্য পুলিশের (WB Police) ভূমিকা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। এবার এই পুলিশ অফিসারদের বদলি সংক্রান্ত নিয়মেই আসতে চলেছে বিরাট বদল। মূলত রাজ্য পুলিশের (WB Police) বদলির নীতিকে আরও বেশি স্বচ্ছ করে তুলতেই আসছে নতুন নিয়ম। এমনিতে রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মচারীদের বদলির ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নিয়ম থাকলেও পুলিশের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা বেশ আলাদা।
রাজ্য পুলিশের (WB Police) বদলি নীতিতে বিরাট বদল
তাই পুলিশ ফোর্সের ক্ষেত্রে বদলির নির্দেশ এলেই তদ্বির করা যায় না। এবার এই বিষয়েই একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যা থেকে জানা যাচ্ছে, যখনই কোন পুলিশ অফিসারদের বদলির নির্দেশ আসবে তখন কোথাও পোস্টিং পাওয়ার জন্য একা কিংবা দলবদ্ধ ভাবে সদর দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তাদের কাছে গিয়ে তদ্বির করলেই সেটা শৃঙ্খলা ভঙ্গের সমিল হবে।
জানা যাচ্ছে, এই গোটা প্রক্রিয়াটাই করা হচ্ছে অনলাইনে, যার ফলে আগামী দিনে গোটা বিষয়টার মধ্যে অনেকটাই স্বচ্ছতা আসবে বলেই দাবি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত আসলে গত লোকসভার আগে রাজ্যপুলিশে প্রচুর রদবদল হয়েছিল। তারপর গত সেপ্টেম্বর মাসেই ওই সমস্ত পুলিশের আত্মীয়দের একাংশ সরাসরি চলে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের (WB Police) সদর দপ্তর ভবানী ভবনের সামনে। সেখানে গিয়েই তারা তদ্বির শুরু করে দিয়েছিলেন।
এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। তাই এবার রাজ্য পুলিশের (WB Police) বদলির এই প্রক্রিয়াকে আরও বেশি স্বচ্ছ করে তুলতেই জারি করা হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন নির্দেশিকা। গত ২৫ অক্টোবরেও একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ কর্মীদের বদলির সংক্রান্ত বেশ কিছু নতুন নিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে বলা হয়েছে বদলির জন্য আগ্রহী পুলিশ কর্মীরা ইএইচআরএমএস পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসেই একটি নতুন উইন্ডো খোলা হবে। এই উইন্ডো খোলার ৩০ দিনের মধ্য়েই আবেদন করতে হবে। প্রতিবছর মার্চ বা এপ্রিল মাসে জেনারেল ট্রান্সফার করা হবে। তার জন্য ওই নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে বদলির জন্য আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে ছাপ্পা ভোট! অখিলেশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক BJP সভাপতি
তবে এক্ষেত্রে শর্ত একটাই ওই নির্দিষ্ট আবেদনকারীকে বদলি করা যাবে কিনা তা নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার বা ইউনিট হেড একটি নির্দিষ্ট কমেন্ট লিখবেন। ১০ দিনের মধ্য়েই তিনি এই মতামত জানাবেন। এরপর সেই মতামতের উপর ভিত্তি করেই রেঞ্জ আইজি বা ডিআইজি বদলি সংক্রান্ত বিষয়গুলি কার্যকর করবেন। এছাড়াও যদি কারও কোন বিশেষ কারণে বদলির প্রয়োজন থাকে তাহলে তাকে সেক্ষেত্রে তাকে EHRMS পোর্টালে আবেদন করতে হবে। এই পোর্টালে তাকে বদলির পিছনে নির্দিষ্ট যুক্তি উল্লেখ করতে হবে।
সেই সাথে তার বক্তব্যের স্বপক্ষে নির্দিষ্ট নথিও পেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে সাত দিনের মধ্যে তাঁর হায়ার অথরিটির মতামত দিয়ে সেই সব নথি আসবে পুলিশ সুপার বা ইউনিট হেডের কাছে। সেখান থেকেই দশদিনের মধ্যে তিনি মতামত দেবেন। তারপর সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট কমিটির কাছে গোটা বিষয়টি পাঠানো হবে। সেই কমিটিই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।