বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজকের দিনে বাংলা বিনোদন জগত খানিকটা ম্রিয়মাণ হলেও একটা সময় ছিল যাকে একেবারে স্বর্ণযুগ বলা চলে। আর সেই স্বর্ণযুগের একজন মূল কারিগর ছিলেন উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। বাংলা বিনোদন জগতে অন্যতম সফল, সুদর্শন, সুপুরুষ অভিনেতা তিনি। একটা সময় ব্যর্থতা তার দরজায় কড়া নাড়লেও পরবর্তী সময়ে যাতেই হাত দিয়েছেন কার্যত তাতেই সোনা ফলিয়েছেন। আর এহেন মহানায়কের ৯৭ তম জন্মবার্ষিকী আজ। চলুন তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কিছু অজানা তথ্য (Unknown Facts) আজ জেনে নেওয়া যাক।
প্রথম তথ্য : আগেই বলব ১৯৫৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘অগ্নিপরীক্ষা’র কথা। ছবিটি সেইসময় যে কেবলই সুপারহিট হয়েছিল তাই নয়, একইসাথে বাঙালি পেয়েছিল এক অনন্য জুটি। উত্তম সুচিত্রার মনোমুগ্ধকর রসায়ন দেখে প্রেম করতে শিখেছিল বাঙালি তরুণ তরুণী। তবে অনেকেই হয়ত জানেননা যে, ছবির পোস্টার নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছিল তখন। পোস্টারে লেখা ‘সত্যিকারের ভালোবাসার সাক্ষী অগ্নি পরীক্ষা’ কথাটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন সুচিত্রার স্বামী।
দ্বিতীয় তথ্য : উত্তম প্রেমীরা কি জানেন যে, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি ছবিটি সত্যিকারের ঘটনা অবলম্বনে বানানো হয়েছিল। হেন্সম্যান অ্যান্থনি নামক এক পর্তুগিজের জীবনীর উপর ভিত্তি করে লেখা হয় অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির চিত্রনাট্য।
আরও পড়ুন : ৩০০ কোটির জওয়ানে কত পারিশ্রমিক পেলেন নয়নতারা, দীপিকারা? টাকার অঙ্ক জানলে ঢোক গিলবেন
তৃতীয় তথ্য : সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘দেওয়া নেওয়া’র মিউজিক ডিরেক্টরের নাম নিশ্চয় সকলেই জানেন। তবে উত্তম অভিনীত এই ছবির প্রযোজকের নাম জানা আছে কি? বলে রাখি যিনি ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন তিনিই। আর তার নাম শ্যামল মিত্র।
চতুর্থ তথ্য : জানা যায় নায়ক সুলভ চরিত্রের মোড়ককে খুব একটা ভাঙতে চাইতেননা তিনি। যে কারণে রিস্ক-ও নিতে চাননি উত্তম কুমার। আর সেই কারণেই কাজের কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলেও সত্যজিৎ রায়ের ঘরে বাইরের সন্দীপ চরিত্রটি প্রত্যাখান করেন।
আরও পড়ুন : রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সম্পর্কে নয়া মোড়, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিশেষ বার্তা অভিনেতার
পঞ্চম তথ্য : আজকের দিনে দাঁড়িয়েও উত্তম কুমারের একটি হিট ডায়লগ হল ‘এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলো তো?’ আজও প্রেমিক-প্রেমিকারা নিজের অজান্তেই এই গানের কলি গুনগুনিয়ে ওঠেন। তবে অনেকেই হয়ত জানেননা যে, গানটার শুটিংকে একটা সময় বানচাল করে দিতে চাওয়া হয়েছিল। সুচিত্রা সেন প্রবল আপত্তির সম্মুখীন হন সেই সময়। তবে কারো কোনো কথা না শুনে এগিয়ে যান মিসেস সেন। আর বাকিটা তো ইতিহাস।
ষষ্ঠ তথ্য : বলিউডের নামজাদা কোরিওগ্রাফার হলেন সরোজ খান। তিনিও একবার উত্তম কুমারের সান্নিধ্য লাভ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে সেই সুযোগে বাধ সাধে মহানায়কের অসুস্থতা। ১৯৬১ সালের সাথী হারা ছবিতে তাঁদের একসঙ্গে কাজের কথা ছিল।