বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজকের দিনে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির গৌরব খানিক ম্রিয়মাণ হলেও একটা সময় এমন ছিল যখন গোটা ভারতে ছিল বাংলার জয়জয়কার। আর এই স্বর্ণযুগের কান্ডারিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুচিত্রা সেন। তাঁর রূপ লাবণ্য থেকে শুরু করে অভিনয় প্রতিভা__কোনোকিছুরই তুলনা হয়না। আজও তাঁকে টেক্কা দিতে পারে এমন প্রতিভা বাংলার মাটিতে জন্মায়নি।
একটা সময় এমন ছিল যখন চারিদিকে নায়কদের রমরমা, আর সেই ভিড়ে তিনি এমন একজন নায়িকা যার একটা ডেট পাওয়ার জন্য হা পিত্যেশ করে বসে থাকতেন পরিচালকরা। বাংলা তো বটেই, পাশাপাশি বলিউড অবধি মুখিয়ে ছিলেন সুচিত্রা সেনকে কাস্ট করার জন্য। তবে জানেন কি কর্মজীবন নিয়ে সতর্ক থাকা এই নায়িকাই আবার খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোনও নিয়ম মানতেননা। কী ছিল তাঁর পছন্দের খাবার?
শোনা যায়, সুচিত্রা সেন নাকি কোনও ডায়েট ফলো করতেন না। তিনি যেমন খেতে ভালোবাসতেন তেমনই খাওয়াতেও ভালোবাসতেন। তবে সেটা কখনোই বাইরের খাবার নয়। তিনি হুটহাট যেখানে সেখানে যেতে পছন্দ করতেননা। তবে পার্কস্ট্রিটের কাছে এক ‘বারবিকিউ’ রেস্তোরাঁ ছিল সুচিত্রার পছন্দের রেস্তোরাঁগুলির মধ্যে অন্যতম।
জানা যায়, ঐ রেস্তোরাঁয় তার নির্দিষ্ট একটা টেবিল ছিল। যখনই আসতেন তখনই আগে রেস্তোরাঁয় ফোন করতেন। তৎকালীন ম্যানেজার বল্লভভাই আথার সাথেও বেশ ভালো সখ্যতা ছিল অভিনেত্রীর। ফোন পাওয়া মাত্রই টেবিল সাজিয়ে রাখতেন তিনি। সাধারণত সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ৭.৩০ টার মধ্যেই সুচিত্রা এসে হাজির হতেন এই রেস্তোরাঁয়। আর তিনি আসা মাত্রই চলে আসতো তার সমস্ত পছন্দের খাবার।
এই তালিকায় ছিল বারবি কিউয়ের মিক্সড কাবাব প্ল্যাটার। তাতে থাকতো — মটন বড়া কাবাব, তন্দুরি চিকেন, মুর্গ মালাই কাবাব, ফিশ পিসৌরি কাবাব, মুর্গ হরিয়ালি কাবাব, মটন শিক কাবাব ও তন্দুরি প্রন, সঙ্গে স্যালাড, পুদিনা চাটনি ও রায়তা। সাধারণত গরম বাটার নান ও গার্লিক দিয়ে এই মিক্সড কাবাব প্ল্যাটার খেতেন মহানায়িকা। এছাড়াও চাইনিজ খাবারও ছিল তার অত্যন্ত পছন্দের। এই প্ল্যাটারে তিনি পছন্দ করতেন— সি ফুড স্যুপ, চিমনি স্যুপ ফ্রায়েড চিকেন ওয়ান্টন, ফ্রায়েড চিকেন উইংস, গোল্ডেন ফ্রায়েড প্রন, চিকেন উইথ আমন্ড অ্যান্ড ক্যাশিয়োনাট, হট গর্লিক ফিশ, প্রন সুইট অ্যান্ড সাওয়ার, মিক্সড ফ্রায়েড রাইস এবং বারবি কিউ স্পেশাল চাওমিন ইত্যাদি।