বাংলা হান্ট ডেস্ক : হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তারপরেই ধুমধাম করে বড় মায়ের (Maa Kali) আগমন হবে রাজ্যে। মা শ্যামার আরাধনায় মাতবে বঙ্গবাসী। মানুষের ঢল নামবে জেলার শতাব্দী প্রাচীন কালী মন্দিরগুলিতে। এরকমই এক ঐতিহ্যবাহী কালী মন্দির (Kali Puja) হল বয়রা কালীবাড়ি (Boyra Kalibari)। আড়ম্বরবিহীন এই পুজোয় ভক্তি আর নিষ্ঠাই হল আসল। জাগ্রত দেবীর আশীর্বাদ নিতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এখানে।
বয়রা কালীবাড়ি মূলত উত্তর দিনাজপুরে অবস্থিত। যদিও উত্তর দিনাজপুরের পাশাপাশি গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষজন এই দেবীর অলৌকিকতাকে বিশ্বাস করেন। আর করবে নাই বা কেন, বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পুজোর মধ্যে কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালীবাড়ির পুজো অন্যতম। এই পুজোর বয়স কত তা গ্রামের বয়স্করাও ঠিক ঠাহর করতে পারেননা। বয়সের হিসেব অজানা সকলের।
তবে লোকমুখে শোনা যায়, এক প্রবীণ সাধক বয়রা গাছের নিচে প্রথমবার শ্যামা মায়ের আরাধনা শুরু করেন। আর তার পাশেই ছিল রুহিতর এবং শ্রীমতি নামক দুটি নদী। বর্তমান দিনে নদীগুলি মরে গেলেও সেই সময় এই নদী দুটিতে ছিল বণিকদের আনাগোনা। এসে নদীর পাড়ের একটি ঘরে বিশ্রাম করতেন। সেই ঘরটিতেই নাকি মন্দির গড়ে তোলা হয়। বর্তমান দিনে এখানেই দেবীর পুজো হয়।
আরও পড়ুন : মানবিক বস! দীপাবলির আগে কর্মীদের Tata-র গাড়ি উপহার দিয়ে জিতে নিলেন দেশবাসীর মন
পরবর্তী সময়ে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক সুকুমার ঘোষ মন্দিরটি সংস্কার করেন। প্রচার বাড়ার সাথে সাথে জমায়েত হতে থাকে মানুষের ভিড়। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে দেবীর অলৌকিক ক্ষমতার কথা। স্থানীয়দের উদ্যোগে মন্দিরে বসানো হয় দেবীর অষ্টধাতুর মূর্তি। সেই থেকে আজও চলছে দেবীর আরাধনা। আজও কালীপুজোর দিন দেবীর আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় করেন এই মন্দিরে।
আরও পড়ুন : মহম্মদ নবীর প্রিয় পানীয় কী ছিল জানেন? রইল তা বানানোর সহজ রেসিপি
পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের থেকেই জানা গেছে, বয়রা কালীবাড়ির মায়ের আশীর্বাদ নিতে জেলার বাইরে থেকেও লোক আসে। কেউ পুজো দেন তো কেউ আবার মানত করেন। রাত হলেই ভক্তদের প্রার্থনা আর মন্ত্রোচ্চারণে সরগরম হয়ে ওঠে এই মন্দির প্রাঙ্গণ। কালীপুজোর দিন ছাড়াও দৈনিক মায়ের পুজো করা হয়। সেই সাধারণ দিনেও প্রচুর মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন।