বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়ায় অর্থাৎ কালী পুজোর একদিন পরই পালিত হয় ভাইফোঁটা (Bhai Phota) উৎসব। ভাইকে ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনার দিন এটি। সকল ভাইবোনের ভালোবাসার প্রতীক হল ভাইফোঁটা। রাখি বন্ধনে ঠিক যেমন করে ভাইয়েরা বোনদের রক্ষার শপথ করে থাকে, তেমনই এই দিনটিতে বোনেরা ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে থাকে। বছর ভোর দেখা না হলেও, এই দিনটির জন্য প্রতিবছর ভাই বোনেরা অপেক্ষা করে থাকে। কালী পুজোর একদিন পর এই উৎসব পালন করা হয়।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই দিনটির বিশেষ মাহাত্ম্য। বলা হয়ে থাকে, এইদিন বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন মৃত্যুরাজ যম। আবার শোনা যায়, কৃষ্ণ যখন নরকাসুর নামে একটি দৈত্যকে বোধ করেন, তারপর তিনি তাঁর বোন সুভদ্রার কাছে আসেন। এইসময় বোন সুভদ্রা তাঁর কপালে একটি ফোঁটা দিয়ে তাঁকে মিষ্টি খাওয়ান। এরপর থেকেই এই উৎসবের প্রচলন শুরু হয়।
পশ্চিমবঙ্গে ভাইফোঁটা উৎসবটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও পশ্চিম ভারতে ভাইবিজ নামে একটি উৎসবের কথা জানা যায়। প্রস্পঙ্গত এই উৎসবের প্রচলন এতখানি যে, যে সকল বোনদের ভাই নেই, তারা চন্দ্রদেবতাকে ভাই মনে করে এই উৎসব পালন করে থাকে।
ভাইফোঁটার শুভক্ষণ- ৬ ই নভেম্বর দুপুর ১ টা বেজে ১০ মিনিট থেকে দুপুর ৩ টে বেজে ২১ মিনিট পর্যন্ত।
ভাইফোঁটার শুভ তিথিতে ভাইফোঁটার মন্ত্রটি জেনে নিন-
‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর’।