বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ গত ম্যাচে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হারতে হয়েছিল খুবই বাজেভাবে। সেই হারের ধাক্কা কাটিয়ে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর প্রত্যাবর্তন করতে পারবে কিনা সেই নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ ছিল। কিন্তু ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে অন্তত সেই প্রশ্নটার কিছুটা উত্তর দিলেন আরসিবির ব্যাটাররা। বিরাট কোহলি, ফ্যাফ দু প্লেসিস এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দাপটে বড় রান স্কোরবোর্ডে তুললো আরসিবি। তাদের তিনজনের এই দাপুটে পারফরম্যান্সকে KGF (কোহলি, গ্লেন, ফ্যাফ) ধামাকা বলে দাবি করছেন অনেকেই। উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই যে গোটা ভারতে এই KGF সিরিজের সিনেমাগুলি কতটা জনপ্রিয়।
এর আগের মরশুমে চিন্নাস্বামীর উইকেটে প্রথমে ব্যাট করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারতে হয়েছিল বিরাট কোহলিদের কাছে। সেই কথা মাথায় রেখেই হয়তো লখনউ সুপারজায়ান্টসের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল টসে জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিতীয় ওভার থেকেই আক্রমণের রাস্তা বেছে নেন বিরাট কোহলি। সেই সময় শুধুমাত্র তাকে সঙ্গ দেওয়ার কাজটা করছিলেন দু প্লেসিস।
৩৫ বলে নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন কোহলি। কিছু অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন শট খেলেছিলেন তিনি পেস এবং স্পিন দুই ধরনের বোলিংয়ের বিরুদ্ধেই। কিন্তু তিনি ৬১ রানের বেশি করতে পারেননি। অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার অমিত মিশ্রকে গ্যালারিতে পাঠাতে গিয়ে তিনি ডিপ মিড-উইকেটে ধরা পড়েন। ওপেনিং জুটিতে ৬৯ বলে ৯৬ রান তোলে আরসিবি। কিন্তু দর্শকরা তখনো উপলব্ধি করতে পারেননি যে এটি শুধুমাত্র ট্রেলার ছিল।
বিরাট কোহলি আউট হতেই নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন দু প্লেসিস। রবি বিশ্নইয়ের বলে ১১৫ মিটার দীর্ঘ ছক্কা মারেন তিনি একবার। বিরাট কোহলির মত তিনিও মরসুমের তৃতীয় ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতরান তুলে নেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অজি পাওয়ার হিটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ২৪ বলে নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন তিনি যা ছিল এই মরশুমে তার প্রথম।
শেষ পর্যন্ত ম্যাক্সওয়েল ২৯ বলে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কা সহ ৫৯ রান করে মার্ক উডের বলে বোল্ড হন শেষ ওভারে। দু প্লেসিস ৪৬ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। মার্ক উডই হন লখনউয়ের সেরা বোলার। ৪ ওভারে এই ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে মাত্র ৩২ রান দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তোলেন তিনি। রাহুলদের জয়ের জন্য তুলতে হবে ২১৩ রান।