Ekchokho.com 🇮🇳

শীর্ষস্থান খুইয়েছে কলকাতা, ৬ নম্বরে নামতেই স্বস্তি শহরবাসীর, কী এমন ঘটাল পুরসভা?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সেই ২০২১ থেকে ২০২৩, টানা তিন বছর ধরে দেশের মধ্যে মুখ পুড়ছিল কলকাতার (Kolkata)। ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখে গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে ছিল তিলোত্তমা। কিন্তু ২০২৪ এর রিপোর্ট জন্য দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল শহরবাসী। এক নম্বর থেকে এক ধাক্কায় ছয় নম্বরে এসে ঠেকেছে কলকাতা (Kolkata)। কিছুটা হলেও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমাতে সফল হয়েছে কলকাতা পুরসভা।

শীর্ষস্থান থেকে নীচে নামল কলকাতা (Kolkata)

২০২৪ এ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টে, সবথেকে বেশি ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হিসেবে মোট ৭ টি জেলার এক একটিতেই ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ম্যালেরিয়ায়। এই জেলাগুলির তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে পশ্চিম সিংভূম, কালাহান্ডি, রায়গাডা, কান্ধামাল, গোড্ডা এবং তারপর কলকাতা (Kolkata)। এর মধ্যে কলকাতায় গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০,১৭৭।

Kolkata dropped to 6th place from the top

হটস্পট চিহ্নিত পুরসভার: এর আগে ২০২৩ সালে কলকাতায় (Kolkata) ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ছিল ১৭,০০২ জন, ২০২২ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৭,২০৯ জন এবং ২০২১ সালে সংখ্যাটা ছিল ২১,২৯০ জনের। ২০২৪ এর পর ২০২৫ এ আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা যায় সেই চেষ্টাই করছে পুরসভা। বিগত কয়েক বছরে দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata) তুলনায় উত্তরে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের বেশি বলে দেখা গিয়েছে রিপোর্টে। কাশীপুর, চিৎপুর, বড়বাজার, বাগবাজার, পার্ক সার্কাস, ধর্মতলা, কলেজ স্ট্রিট, বেলগাছিয়ায় সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল।

আরো পড়ুন : মনোজিৎ-কাণ্ডের পরেই নড়ল টনক, একগুচ্ছ বিধিনিষেধ নিয়ে সোমবার থেকে খুলল কসবা ল কলেজ

শহরবাসীকে নির্দেশ পুরকর্তাদের: চলতি বছরের শুরু থেকেই মোট ৬৮ টি ওয়ার্ডকে ‘হটস্পট’ বলে চিহ্নিত করে কাজ শুরু করেছে পুরসভা (Kolkata)। পৌর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা জানান, ম্যালেরিয়ার মশা বড় পরিসরে জমা জলে জন্মায়। তাই জল জমতে দেওয়া যাবে না কোথাও।

আরো পড়ুন : পরীক্ষা দিতে চাইছেন না, এখনও গভীর ট্রমা, কেমন আছেন কসবার নির্যাতিতা?

কোথাও ম্যালেরিয়া রোগী চিহ্নিত করা গেলে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ছোট পুকুর, বাড়ির ছাদ, পাতকুয়ো, নর্দমায় যাতে জল জমে না থাকে তার জন্য শহরবাসীকে উদাসীনতা কাটিয়ে তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।