বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা ও শহরতলীতে একের পর এক নতুন নতুন মেট্রো করিডরের উদ্বোধন হচ্ছে। বেশ কিছু করিডরে চলছে লাইন সম্প্রসারণের কাজ। দাবি করা হচ্ছে সেইসব কাজ শেষ হয়ে গেলে বদলে যাবে কলকাতা শহরের পরিবহণ মানচিত্র। তবে এসব কিছুর মধ্যেই কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) যেন ভুগছে এক নিদারুণ অনিশ্চয়তায়।
ক্রমশ ব্যবধান দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে চাহিদা ও পরিকাঠামোর মধ্যে। আর এর জেরেই বেসরকারিকরণের (Privatization) গ্রাস বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে কর্মীদের ধারণা। প্রায় ১০০ জন বেসরকারি কর্মীকে দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া-এসপ্লানেড রুটে। স্টেশনের ‘টিকেটিং জ়োনে’ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তারা।
আরোও পড়ুন : এ কী কান্ড! চাঁদে বসবে রেললাইন, ছুটবে ট্রেন! অভিনব ভাবনা প্রকাশ নাসার
এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীদের কাজে লাগানো হচ্ছে নিউ গড়িয়া-রুবি এবং জোকা-মাঝেরহাট মেট্রোপথেও। পাশাপাশি আশঙ্কা টিকিট বিক্রি সহ অন্যান্য পরিষেবার দায়িত্বও তুলে দেওয়া হতে পারে বেসরকারি হাতে। সূত্রের খবর, মেট্রোর কর্মী সংগঠনগুলিকে বলে রাখা হয়েছে নির্বাচন পর্ব মিটে গেলেই ইস্ট-ওয়েস্টের পরিষেবা সংক্রান্ত একাধিক দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে বেসরকারি হাতে।
আরোও পড়ুন : ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা! অকালে চলে গেলেন ‘ত্রিনয়নী’ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেত্রী, আহত কয়েকজন
‘আউটসোর্স’ করা হতে পারে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের মাধ্যমে ট্র্যাফিক ব্যবস্থার বিভিন্ন কাজকর্ম। এই আভাস পাওয়ার পরই মেট্রোর কর্মী সংগঠনগুলি আন্দোলনে নামার তোড়জোড় শুরু করেছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই ধরনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে ‘মেন্স ইউনিয়ন’ এবং ‘মেন্স কংগ্রেস’।
পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ‘মেট্রো রেলওয়ে প্রগতিশীল কর্মচারী ইউনিয়ন’ পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। মেট্রো সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কর্মী সংকটে জেরবার মেট্রোর প্রত্যেকটি লাইন। একাধিক নতুন লাইনে পরিষেবা শুরু হলেও অনুমোদন পাওয়া যায়নি একটি নতুন পদের জন্যও। কর্মীরা অবসর নিলে সেই পদ ফাঁকা পড়ে থাকছে।
কর্মচারীর সংখ্যা কম থাকায় চাপ বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে। মেট্রোর ‘মেন্স ইউনিয়ন’-এর নেতা শিশির মজুমদার জানান, ‘‘পরিষেবার বেসরকারিকরণ করে মেট্রোকে রেল থেকে আলাদা করার চেষ্টা চলছে।’’ ১১ দফা দাবি নিয়ে আগামী বুধবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ‘মেট্রো রেলওয়ে প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কিছুই বলতে চাননি মেট্রোর আধিকারিকরা।