বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মার্চ মাসে গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছিল একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। প্রাণ যায় ১৩ জনের। সেই সময় কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) মেয়র তথা স্থানীয় বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম মেনে নিয়েছিলেন বিল্ডিংটি বেআইনিভাবে তৈরি। যে কারণে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল কলকাতা পুরসভাকে। এরপর বেআইনি নির্মাণ রুখতে কেএমসির তরফ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চায় কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
আগামী ৯ মে এই মামলার শুনানি আছে। সেদিনই কলকাতা পুরসভার (KMC) তরফ থেকে আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। বিগত এক মাসে শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে অবৈধ নির্মাণ রুখতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, কেএমসির রিপোর্টে সেকথাই উল্লেখ থাকবে বলে খবর। ইতিমধ্যেই সেই রিপোর্ট তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কেএমসির বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাই কোর্টে জমা দিতে চলা ওই রিপোর্টে গার্ডেনরিচে অবৈধ বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে একথা যেমন উল্লেখ থাকবে, তেমনই তিলোত্তমায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা নানান বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটাও তুলে ধরা হবে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে ছাড়লেন ‘হাত’! BJP-তে যোগ দিলেন এই হেভিওয়েট কংগ্রেস প্রার্থী, শোরগোল রাজ্যে!
সম্প্রতি বরো ১০-এর অন্তর্গত ৯১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে হয় কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের। এরপর কসবা থানার পুলিশদের সহযোগিতায় সেই নির্মাণ ভাঙা হয়। কীভাবে বিষয়টি হয়েছে, কলকাতা পুরসভার রিপোর্টে তার উল্লেখ থাকবে বলে খবর।
কেএমসি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ৯ মে আদালতে ওই রিপোর্ট জমা করার আগে পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং কমিশনার ধবল জৈনকে অবগত করানো হতে পারে। গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর অবৈধ নির্মাণ রুখতে বর্তমানে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে কলকাতা পুরসভা। এই বিষয়ে বিল্ডিং বিভাগের এই শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘বেআইনি নির্মাণ রোখার জন্য একটি অ্যাপ চালু করেছি আমরা। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে যে বেআইনি নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব, সেটা এক মাসের মধ্যেই প্রমাণিত’।
ওই আধিকারিক জানান, গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আরও বেশি সজাগ হয়ে উঠেছে কলকাতা পুরসভা। কেএমসির তরফ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে রিপোর্টের মাধ্যমে আদালতকে অবগত করবে তারা। সেই সঙ্গেই আগামীদিনে শহরের বুকে বেআইনি নির্মাণ রুখতে পুরসভার কাজে আসতে পারে এমন বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ ওই রিপোর্টে থাকবে বলে খবর।