বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়াকড়ি কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation)। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ আসতেই বিল্ডিং বিভাগকে বড় নির্দেশ দিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম। কমন প্যাসেজে কোনও রকম নির্মাণ করা যাবে না সাফ বলেন তিনি। এরপরেও কেউ এই ধরণের নির্মাণ করলে তা ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র।
অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ আসতেই কড়াকড়ি কেএমসির (Kolkata Municipal Corporation)!
জানা যাচ্ছে, এদিন জোকা এলাকার ১৪২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে ফিরহাদের (Firhad Hakim) কাছে ফোন আসে। তিনি জানান, কয়েকটি বাড়ির মাঝের কমন প্যাসেজে স্থানীয় একজন জমির মালিক পাঁচিল তুলে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা দিয়ে স্থানীয় মানুষজন যাতায়াত করেন। তবে এখন পাঁচিল তুলে দেওয়ার কারণে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।
এই অভিযোগ কানে আসতেই কড়া নির্দেশ দেন মেয়র। কমন প্যাসেজে গড়ে ওঠা ওই পাঁচিল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন ফিরহাদ। বরো এক্সিকিউটিভ অফিসারকে এই নির্দেশ দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কেএমসির (Kolkata Municipal Corporation) মেয়র বলেন, ‘বহু বছর ধরে ব্যবহৃত কোনও কমন প্যাসেজ নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। সেটা আর কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। সেই কারণে কমন প্যাসেজ বন্ধ করে সেখানে নির্মাণের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। বরো অফিসাররা তাই এমন কোনও নির্মাণ করতে বারণ করছেন’।
আরও পড়ুনঃ ২ মাসের মধ্যে…! অবৈধ নির্মাণের মামলায় এবার কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
দু’টি কিংবা কয়েকটি বাড়ির মধ্যে সাধারণত এই কমন প্যাসেজ (Common Passage) দেখা যায়। এই রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ যাতায়াত করে। অনেক সময় স্থানীয় মানুষের গাড়িও সেখানে রাখা থাকে। ফলে এই ধরণের কমন প্যাসেজে যদি নির্মাণ করা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হয়। এছাড়া কলকাতা পুরসভার আইনে কমন প্যাসেজে নির্মাণ অবৈধ বলেই রয়েছে। ফলে সেখানে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কিছু নির্মাণ করতে পারেন না। এদিন কার্যত সেটাই স্মরণ করিয়ে দেন ফিরহাদ।
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) মেয়রের কথায়, ‘দলিল করে কেউ কমন প্যাসেজ নিজের বলে দাবি করতে পারেন না। আর যদি তা করা হয় তাহলে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন দেবেন না। কারণ ৩০-৪০ বছর ধরে ওই কমন প্যাসেজ ব্যবহৃত হয়ে তা অন্যান্য বাসিন্দাদের অধিকারের আওতায় পড়ে যায়। ফলে বহু প্রোমোটার এখন দলিলের মধ্যে সেগুলিকে ঢুকিয়ে দিয়ে বিল্ডিং নির্মাণের অনুমতি নিচ্ছেন। দলিলের মধ্যে এসব থাকলে অনুমতি দেবেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সেই ফাইল পাঠিয়ে দেবেন। সেখানে যা হওয়ার হবে’।