বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত চারদিন আগেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (Kolkata Police STF) শাখার জয়েন্ট সিপি ভি সলোমন নেশাকুমার (V Salman Nesha Kumar) এবং ডিসি অপরাজিতা রাইয়ের (Aparajita Rai) নেতৃত্বে বেহালা থেকে তিন জেএমবি (JMB) জঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকেই পুলিশের হাতে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইতিমধ্যেই, জানা গিয়েছে খাগড়াগড়ের মতই পশ্চিমবঙ্গে আরেকটি বোমা কারখানা তৈরীর পরিকল্পনা ছিল ওই চক্রটির। পদ্মা পাড়ে তেমন সুবিধা করতে না পেরে এখন এপার বাংলায় নজর দিয়েছিল এই জঙ্গী সংগঠন।
ইতিমধ্যেই তাদের কাছে উদ্ধার হওয়া ডায়েরি থেকে আল-কায়েদা হুজি সহ একাধিক নাশকতামূলক সংগঠনের নেতৃত্বের নম্বর উদ্ধার করেছে এসটিএফ। যদিও তাদের আশ্রয়দাতা এখনও ফেরার, তবে এবার ফের একবার বড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ল সন্ত্রাসবাদীদের লিংক ম্যান রাহুল কুমার ওরফে রহুল সেন (Rahul Sen) ওরফে লালু সেন (Lalu Sen)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী এই লালুই জেএমবির সঙ্গে লিংক ম্যানের কাজ করতো।
তার কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে দুটি আইপ্যাড, দুটি ল্যাপটপ এবং বেশ কিছু পরিচয় পত্র। প্রাথমিক অনুমান, এই সমস্ত পরিচয় পত্রগুলিই ভুয়ো। রাহুল বা লালু আদতে ভারতের বাসিন্দা কিনা তা নিয়েও সন্দেহে রয়েছে পুলিশ। প্রতিটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নাজিউর সহ একাধিক বাংলাদেশি জঙ্গীর সঙ্গেও রীতিমত যোগাযোগ রাখত লালু নামের ওই ব্যক্তি।
পুলিশের মতে লালুর কাজ ছিল, জঙ্গীদের জন্য ভুয়ো আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ড তৈরি করা। এছাড়া ‘হুন্ডি’ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ জঙ্গীদের টাকা-পয়সার যোগান দিতে সে। হুন্ডি হলো এক ধরনের হাওয়ালা ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পয়সা আনা যায়। জানা গিয়েছে আজই রাহুল তথা লালুকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে চালান করবে পুলিশ। এর আগে অন্য তিন বাংলাদেশি সঙ্গীকেও ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছে। আপাতত ২৬ জুলাই পর্যন্ত তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন লালুর কাছ থেকে নতুন কি তথ্য পায় পুলিশ সেটাই দেখার।