বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস (Leaps and Bounds) ফাইল কাণ্ডে নয়া মোড়! বিতর্কিত ওই ১৬টি ফাইল (16 file) নিয়ে ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য। ফাইল কাণ্ডে তদন্ত করছে লালবাজার। ইডির ভূমিকায় প্রথম থেকেই উঠেছে প্রশ্ন। আর এবার হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্ট নিয়ে আরও বাড়লো জল্পনা।
প্রসঙ্গত বিগত কিছুদিন ধরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস, এই নাম নিয়ে তোলপাড়। সম্প্রতি রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সূত্র ধরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে টানা তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন ওই সংস্থারই এক কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতভর তল্লাশি চালানোর পর প্রচুর নথি, ১টি হার্ড ডিস্ক ও ১টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে চলে যান ইডি (ED) আধিকারিকরা। পরে, এই চন্দনই ইডি-র গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে সংস্থার একটি কম্পিউটারে ১৬টি অচেনা ফাইল ডাউনলোডের অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata police) কাছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের শক্তিবৃদ্ধি! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আছড়ে পড়বে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি, বিরাট আপডেট
এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। কলকাতা পুলিশ ইডির কাছে গোটা বিষয়টি খোলসা করতে বলে। এরপর জবাবি চিঠি দিয়ে ইডি পুলিশকে জানায়, তাদের মধ্যেই এক আধিকারিক ওই কম্পিউটারে মেয়ের জন্য হস্টেলের খোঁজ নিচ্ছিলেন, সে সময়ই কোনও কারণ বশত ওই এক্সেল ফাইলগুলো ডাউনলোড হয়েছে। যদিও ইডির জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি লালবাজার।
এবার হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্ট নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। লালবাজারের বক্তব্য, ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সবকটি বয়েজ হস্টেল! এদিকে ওই ইডি অফিসার বলেছিলেন তার মেয়ের জন্য হোস্টেল খুঁজেছেন। তাহলে একজন অফিসার নিজের মেয়ের জন্য কেন বয়েজ হস্টেল খুঁজবেন। এই নিয়ে প্রশ্ন তোলে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্পেন থেকে একের পর এক সুখবর! এবার শিক্ষায় হবে মেলবন্ধন, ‘বিরাট’ পদক্ষেপ মমতা সরকারের
কলকাতা পুলিশের আরও অভিযোগ, ইডি কাজ করার সময় অর্থ মন্ত্রকের তরফে জারি করা এসওপি মানেনি। উল্লেখ্য, গত বুধবার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল) আদালতে ওই বিতর্কিত ১৬টি ফাইল নিয়ে তাদের রিপোর্ট পেশ করে। নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে রিপোর্ট দেয় লালবাজারও। সেখানেই পুলিশ দাবি করে ওই ফাইলে যে মেয়েদের হস্টেলের কথা বলা হচ্ছে আসলে সে সবগুলিই ছেলেদের।